শ্রীমদ্ভাগবত ৭/৯/৩৮-Srimad bhagavad bangla
শ্রীমদ্ভাগবত ৭/৯/৩৮(Srimad bhagavad bangla)
ইত্থং নৃতির্যগৃষিদেবঝষাবতারৈর্লোকান্ বিভাবয়সি হংসি জগৎপ্রতীপান্।
ধর্মং মহাপুরুষ পাসি যুগানুবৃত্তং ছন্নঃ কলৌ যদভবস্ত্রিযুগোহথ স ত্বম্ ।।
অনুবাদঃ “হে ভগবান, এভাবে আপনি নর, পশু, ঋষি, দেবতা, মৎস্য অথবা কূর্মরূপে অবতরণ করে সমগ্র জগৎ পালনকরেন এবং অসুরদের সংহার করেন। হে ভগবান, আপনি যুগ অনুসারে ধর্মকে রক্ষা করেন। কিন্তু কলিযুগে আপনিআপনার ভগবত্তা প্রকাশ করেন না, তাই আপনাকে ত্রিযুগ বলা হয়।”
এই শ্লোকে অত্যন্ত নির্দিষ্টভাবে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর কথা বলা হয়েছে, যিনি হচ্ছেন অবতারী। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুহচ্ছেন সেই একই পরমেশ্বর ভগবান স্বয়ং, কিন্তু তিনি ছন্ন অবতার। ছন্ন মানে আচ্ছাদিত, প্রচ্ছন্ন, প্রত্যক্ষভাবে নয়, কেননা তিনি ভক্তরুপে আবির্ভুত হয়েছিলেন। শ্রীল রূপ গোস্বামী নির্ণয় করেছিলেন যে, শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু হচ্ছেন কৃষ্ণের অবতার। সার্বভৌম ভট্রাচার্য ও শ্রীরূপ গোস্বামীর মতো ভক্তগণের দ্বারা এবং উপনিষদ, মহাভারত ইত্যাদিশাস্ত্রের মতো শাস্ত্রসমূহে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর অবতারীত্ব প্রতিপন্ন হয়েছে। সেই অবতারী, মহান ভক্ত ব্যক্তিত্বের দ্বারা শাস্ত্রের নিরিখে প্রতিপন্ন হয়েছেন। শ্রীমদ্ভাগবতেরেই অন্য একটি শ্লোকে, একাদশ স্কন্ধে সরাসরি বর্ণনা করা হয়েছে-
কৃষ্ণবর্ণং ত্বিষাকৃষ্ণং সাঙ্গোপাঙ্গাস্ত্রপার্ষদম্।
যজ্ঞৈঃ সঙ্কীর্তনপ্রায়ৈর্যজন্তি হি সুমেধসঃ।।
(শ্রীমদ্ভাগবতম ১১/৫/৩২)
করভাজন মনি মহারাজ নিমির কাছে বিভিন্ন যুগে পরেমশ্বর ভগবানের বিভিন্ন অবতারীত্বের বর্ণনা করার সময়ে এই শ্লোকটির উল্লেখ করেন। অর্থাৎ “কলিযুগের যেসব সময়ে এই শ্লোকটির উল্লেখ করেন। অর্থাৎ “কলিযুগের যেসববুদ্ধিমান মানুষেরা ভগবৎ-আরাধনার উদ্দেশ্য সংকীর্তন যজ্ঞানুষ্ঠান করেন, তাঁরা অবিরাম শ্রীকৃষ্ণের নামগানের মাধ্যমে ভগবৎ আরাধনা করে থাকেন। যদিও তাঁর দেহ কৃষ্ণবর্ণ নয়, তা হলেও তিনিই স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ।
তাঁর সঙ্গে পার্ষদরূপে রয়েছেন তাঁর ঐকান্তিক অনুগামীগণ, সেবকগণ, অস্ত্র ও সহযোগীগণ।” শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুকে শ্রীল বৃন্দাবন দাস ঠাকুরও যুগধর্মপালো বলে বর্ণনা করেছেন। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুকে এখানে, আলোচ্য শ্লোকে ছন্ন কলৌ রূপে বর্ণনা করা হয়েছে। কলিযুগে তিনি নৃসিংহদেব,বামনদেব,শ্রীরামচন্দ্র আদি অন্যান্য অবতারগণের মতো অবতীর্ণ হন না। তিনি অবতীর্ণ হন ভক্তরূপে।
আর এই অবতারই পরম মহানুভব অবতার। কেন? কেননা এই কলিযুগে মানুষ এতটাই মূর্খ যে, তারা কৃষ্ণকে হৃদয়ঙ্গম করতে পারে না। যখন কৃষ্ণ বলেন, সর্বধর্মান পরিত্যজ্য মামেকং শরণং ব্রজ, তখন তারা মনে করে যে, “এই বাক্যটি এভাবে নির্দেশ দেওয়ার কে, সর্বধর্মান্ পরিত্যজ্য? কী অধিকার আছে তাঁর?” এই হচ্ছে আমাদের ভবরোগ, জাগতিক ব্যাধি। যদি কেউ কোনকিছুকরতে নির্দেশ প্রদান করে, অন্য কেউ প্রতিবাদ করবে-“আপনি নির্দেশ দেবার কে?” এই হলো অবস্থা। কৃষ্ণ পরমেশ্বর ভগবান স্বয়ং। তিনি পরম পুরষ, পরমাত্মা। তিনি অবশ্যই নির্দেশ প্রদান করবেন। কেননা তিনি পরম নিয়ন্তা এই হচ্ছে ভগবান
তাঁর সঙ্গে পার্ষদরূপে রয়েছেন তাঁর ঐকান্তিক অনুগামীগণ, সেবকগণ, অস্ত্র ও সহযোগীগণ।” শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুকে শ্রীল বৃন্দাবন দাস ঠাকুরও যুগধর্মপালো বলে বর্ণনা করেছেন। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুকে এখানে, আলোচ্য শ্লোকে ছন্ন কলৌ রূপে বর্ণনা করা হয়েছে। কলিযুগে তিনি নৃসিংহদেব,বামনদেব,শ্রীরামচন্দ্র আদি অন্যান্য অবতারগণের মতো অবতীর্ণ হন না। তিনি অবতীর্ণ হন ভক্তরূপে।
আর এই অবতারই পরম মহানুভব অবতার। কেন? কেননা এই কলিযুগে মানুষ এতটাই মূর্খ যে, তারা কৃষ্ণকে হৃদয়ঙ্গম করতে পারে না। যখন কৃষ্ণ বলেন, সর্বধর্মান পরিত্যজ্য মামেকং শরণং ব্রজ, তখন তারা মনে করে যে, “এই বাক্যটি এভাবে নির্দেশ দেওয়ার কে, সর্বধর্মান্ পরিত্যজ্য? কী অধিকার আছে তাঁর?” এই হচ্ছে আমাদের ভবরোগ, জাগতিক ব্যাধি। যদি কেউ কোনকিছুকরতে নির্দেশ প্রদান করে, অন্য কেউ প্রতিবাদ করবে-“আপনি নির্দেশ দেবার কে?” এই হলো অবস্থা। কৃষ্ণ পরমেশ্বর ভগবান স্বয়ং। তিনি পরম পুরষ, পরমাত্মা। তিনি অবশ্যই নির্দেশ প্রদান করবেন। কেননা তিনি পরম নিয়ন্তা এই হচ্ছে ভগবান