সূত গোস্বামী প্রদত্ত ঋষিদের ৬ টি প্রশ্নের উত্তর- Srimad bhagavad bangla
১. জনসাধারণের পরম মঙ্গলঃ সমস্ত মানুষের পরম ধর্ম হচ্ছে সেই ধর্ম যার দ্বারা ইন্দ্রিয়জাত জ্ঞানের অতীত শ্রীকৃষ্ণে অহৈতুকী এবং অপ্রতিহতা ভক্তি লাভ করা যায়। সেই ভক্তিবলে অনর্থ নিবৃত্তি হয়ে আত্মা যথার্থ প্রসন্নতা লাভ করে। (শ্রীমদ্ভাগবত, ১.২.৬)
.
২. সমস্ত শাস্ত্রের সারমর্মঃ ভক্তি সহকারে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সেবা করা হলে অচিরেই শুদ্ধজ্ঞানের উদয় হয় এবং জড়জাগতিক বিষয়ের প্রতি অনাসক্তি আসে। (১.২.৭)
.
৩. শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাবের কারণঃ শত শত দাম্ভিক অসুরদের অত্যাচারে অত্যধিক ভারাক্রান্ত হয়ে বসুন্ধরা যখন ব্রহ্মার নিকট নিবৃত্তি প্রার্থনা করলেন, তখন দেবাদিদেব মহাদেব এবং সকল দেবতাগণ সহ তাঁরা ক্ষীরসাগরে শায়িত ভগবান শ্রীবিষ্ণুর নিকট উপস্থিত হয়ে তা থেকে উপশম প্রার্থনা করলেন। সমাধিস্থ অবস্থায় শ্রুত আকাশ-শব্দতরঙ্গ ব্রহ্মা দেবতাদেরকে বললেন , "আমরা এখানে আসার পূর্বেই শ্রীবিষ্ণু বসুন্ধরার দুর্দশা সম্পর্কে অবগত হয়েছেন এবং শ্রীঘ্রই তিনি এর নিষ্পত্তি করবেন। ধরিত্রীর বোঝা লাঘবের জন্য সর্বশক্তিমান ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বসুদেব-দেবকীর পুত্ররূপে আবির্ভূত হবেন এবং তার পূর্বে তোমরা সকল দেবগণ সেখানে যদুবংশে পুত্র-পৌত্রাদি রূপে জন্মগ্রহণ করো।" (শ্রীমদ্ভাগবত, ১০.১.১৭-২৩)
.
৪. সব রকমের পাপ থেকে সম্পূর্ণভাবে মুক্ত ভগবদ্ভক্তদের সেবা করার ফলে মহৎ সেবা সাধিত হয়। এই ধরনের সেবার ফলে কৃষ্ণকথা শ্রবণে আসক্তির উদয় হয়। (১.২.১৬)
.
৫. বিভিন্ন অবতারে ভগবানের লীলাবিলাসের কথা (১.৩.৬-২৫) পরবর্তী পোস্টে আলোচনা করা হবে।
.
৬. শ্রীকৃষ্ণ যখন তাঁর লীলা সংবরণ করে ধর্ম ও তত্ত্বজ্ঞান সহ নিজ ধামে গমন করলেন, তখন সূর্যের মতো উজ্জ্বল এই পুরাণের উদয় হয়েছে। কলিযুগের অন্ধকারে আচ্ছন্ন ভগবৎ-দর্শনে অক্ষম মানুষেরা এই পুরাণ থেকে আলোক প্রাপ্ত হবে। (১.৩.৪৩)
.
হরে কৃষ্ণ!