কিভাবে পরীক্ষিৎ মহারাজ কলিযুগের সম্মুখীন হয়েছিলেন

 পৃথিবীতে কলিযুগের শুরুর কাহিনী

 

পরিক্ষীৎ মহারাজ ও কলির কথোপোকথন

সূত গোস্বামী বললেন—“হে পণ্ডিত ব্রাহ্মণগণ, ভাগ্য গণনায় পারদর্শী পণ্ডিতেরা মহারাজ পরীক্ষিতের জন্মের সময় তাঁর যে সমস্ত মহদ্ গুণাবলীর কথা বলেছিলেন, কালক্রমে তিনি সেই সমস্ত শ্রেষ্ঠ গুণাবলীতে বিভূষিত হয়ে একজন পরম ভাগবতরূপে এবং শ্রেষ্ঠ ব্রাহ্মণদের উপদেশ অনুসারে পৃথিবী শাসন করতে লাগলেন। 

 

মহারাজ পরীক্ষিৎ উত্তর নৃপতির কন্যা ইরাবতীকে বিবাহ করেছিলেন, এবং সেই ইরাবতীর গর্ভে জনমেজয়াদি চারটি পুত্র জন্মগ্রহণ করেছিল। মহারাজ পরীক্ষিৎ কৃপাচার্যকে গুরুরূপে বরণ করে গঙ্গার তীরে তিনটি অশ্বমেধ যজ্ঞ অনুষ্ঠান করেছিলেন। 

 

সেই যজ্ঞে তিনি প্রচুর দক্ষিণা দান করেছিলেন এবং এই যজ্ঞে সাধারণ মানুষেরাও স্বর্গের দেবতাদের দর্শন করতে পেরেছিলেন। এক সময়, মহারাজ পরীক্ষিৎ যখন পৃথিবী জয় করতে বেরিয়েছিলেন, তখন তিনি দেখতে পান রাজবেশধারী এক শূদ্রাধম, কলি, একটি গাভী এবং একটি বৃষকে পায়ে আঘাত করছে। 

 

রাজা তৎক্ষণাৎ তাকে ধরে উপযুক্ত দণ্ড দান করতে উদ্যত হন।” শৌনক ঋষি জিজ্ঞাসা করলেন—“সেই শূদ্রাধম রাজবেশ ধারণ করে গাভীকে তার পদাঘাত করা সত্ত্বেও, মহারাজ পরীক্ষিৎ কেন তাঁকে কেবলই সামান্য দণ্ড দান করেছিলেন? 

 

এই সমস্ত ঘটনা যদি কৃষ্ণ সম্বন্ধীয় হয়, তা হলে দয়া করে আপনি আমাদের কাছে তা বর্ণনা করুন। ভগবদ্ভক্তেরা ভগবানের শ্রীপাদপদ্মের মধু লেহনকারী। যে সমস্ত বিষয় কেবল মানুষের মুল্যবান জীবনের অপচয় করে, সেই সমস্ত বিষয়ের কি প্রয়োজন?  

 

হে সূত গোস্বামী, কিছু মানুষ অবশ্যম্ভাবী মৃত্যুর কবল থেকে মুক্ত হয়ে নিত্য জীবন লাভের প্রয়াস করেন। তাঁরা মৃত্যুর নিয়ন্তা যমরাজকে আহ্বান করে মৃত্যুর করাল গ্রাস থেকে রক্ষা পান। মৃত্যুর কারণ স্বরূপ যমরাজ যতক্ষণ এখানে উপস্থিত থাকবেন, ততক্ষণ কারও মৃত্যু হবে না। ভগবানের প্রতিনিধি, মৃত্যুর নিয়ন্তা যমরাজকে মহর্ষিরা সেখানে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। 

 

যারা তাঁর কবলিত, তাদের কর্তব্য পরমেশ্বর ভগবানের অমৃতময় লীলাসমূহের বর্ণনা শ্রবণ করার সুযোগ গ্রহণ করা। স্বল্পবুদ্ধি এবং স্বল্প আয়ুবিশিষ্ট অলস মানুষেরা নিদ্রার দ্বারা তাদের রাত্রি অতিবাহিত করে এবং অর্থহীন কার্যকলাপে দিন অতিবাহিত করে।”


সূত গোস্বামী বললেন— “মহারাজ পরীক্ষিৎ যখন কুরু সাম্রাজ্যের রাজধানীতে অবস্থান করছিলেন, তখন কলিযুগের লক্ষণাদি তাঁর রাজ্যে অনুপ্রবেশ করতে শুরু করে। সেই সংবাদ তিনি যখন পান, তখন তাঁর কাছে তা মোটেই প্রীতিপ্রদ বলে মনে হয়নি। 

 

অবশ্য তার ফলে তিনি সংগ্রাম করার একটি সুযোগ পেয়েছিলেন। তিনি তাঁর ধনুর্বাণ তুলে নিয়ে সামরিক কার্যকলাপে প্ৰবৃত্ত হওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়েছিলেন। মহারাজ পরীক্ষিৎ, রথী, অশ্বারোহী, গজ এবং পদাতিক সৈন্য পরিবৃত হয়ে, কৃষ্ণবর্ণ অশ্বচালিত এবং সিংহচিহ্নিত ধ্বজাশোভিত রথে চড়ে দিগ্বিজয়ের উদ্দেশ্যে নগরী থেকে বাহির হলেন। 

 

মহারাজ পরীক্ষিৎ ভদ্রাশ্ব, কেতুমাল, ভারত, উত্তর কুরুজাঙ্গল, কিম্পুরুষ ইত্যাদি পৃথিবীর সমস্ত অংশ বা বর্ষ জয় করে সেই সমস্ত দেশের শাসকদের কাছ থেকে উপঢৌকনাদি আদায় করেছিলেন। রাজা যেখানেই গিয়েছিলেন, সেখানেই তাঁর মহান্ ভগবদ্ভক্ত পূর্বপুরুষদের এবং শ্রীকৃষ্ণের মাহাত্ম্য শ্রবণ করেছিলেন। 

 

তিনি নিজেও কিভাবে অশ্বত্থামার অস্ত্রের প্রচণ্ড তেজোরশ্মি থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন, সে-কথাও শ্রবণ করেছিলেন। লোকে তাঁর কাছে বৃষ্ণি এবং পৃথার বংশধরদের কেশবের প্রতি গভীর স্নেহ এবং ভক্তির কথাও বলত। এই প্রকার মহিমা কীর্তনকারীদের প্রতি অত্যন্ত প্রসন্ন হয়ে মহারাজ গভীর তৃপ্তি সহকারে তাঁর চক্ষুদ্বয় উন্মীলিত করেছিলেন এবং মহাবদান্যতা সহকারে তাদের অতি মূল্যবান কণ্ঠহার এবং বসন দান করেছিলেন। 

 

মহারাজ পরীক্ষিৎ শুনেছিলেন যে, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ (বিষ্ণু), যিনি সারা জগতে মান্য, তিনি তাঁর অহৈতুকী কৃপাবশে তাঁর প্রিয় পাণ্ডুপুত্রদের সারথ্য বরণ করেছিলেন, দৌত্য করেছিলেন, সম্যকরূপে তাঁদের সহচর হয়েছিলেন, রাত্রে উন্মুক্ত তরবারি হস্তে তাঁদের প্রহরী হয়েছিলেন এবং এইভাবে তাঁদের ইচ্ছা অনুসারে তাদের নানা প্রকার সেবা করেছিলেন। 

 

কনিষ্ঠ ভ্রাতারূপে তিনি তাঁদের প্রণতি নিবেদন করেছিলেন এবং তাঁদের নির্দেশ পালন করেছিলেন। তা শুনে মহারাজ পরীক্ষিৎ ভগবানের শ্রীপাদপদ্মের প্রতি ভক্তিতে অভিভূত হয়েছিলেন।”


“যখন মহারাজ পরীক্ষিৎ তাঁর পূর্বপুরুষদের সুকৃতি বিষয়ক কথা শ্রবণ করে দিন যাপন করছিলেন এবং অতিশয় আশ্চর্য হয়ে দিনের পর দিন তাঁদেরই চিন্তায় মগ্ন হয়ে থাকতেন, তখন কী ঘটেছিল, তা এখন আপনারা আমার কাছে শুনতে পারেন।”

 

“ধর্মনীতির রক্ষক ধর্মরাজ একটি বৃষের রূপ ধারণ করে ইতস্তত বিচরণ করছিলেন। আর তখন তাঁর দেখা হয়েছিল গাভীরূপী ধরিত্রী মাতার সাথে—তিনি যেন বৎসহারা গোমাতার মতোই বিষণ্ন হয়ে ছিলেন। তাঁর চোখে ছিল অশ্রুধারা, আর তাঁর দেহের সৌন্দর্য যেন হারিয়ে গিয়েছিল। 

 

তাই ধর্মরাজ তখন ধরিত্রীমাতাকে প্রশ্ন করেছিলেন—‘হে মাতঃ, আপনি কি সম্পূর্ণ কুশলে নেই? আপনাকে কেন দুঃখছায়াগ্রস্ত মনে হচ্ছে? আপনার মুখ সামান্য অন্ধকারাচ্ছন্ন দেখাচ্ছে। আপনি কি অন্তরে কোনও আধিব্যাধিতে কষ্ট পাচ্ছেন, কিংবা কোনও আত্মীয়-বন্ধু দূরে চলে গেছে, তার কথা ভাবছেন? 

 

আমার তিনটি পা আমি হারিয়েছি আর আমি এখন একটি মাত্র পায়ে দাঁড়িয়ে রয়েছি। আমার এই রকম অবস্থা দেখে আপনি কি দুঃখ করছেন? কিংবা যারা বিধি অমান্যকারী মাংসভুক্ শূদ্র, এর পর তারা আমাকে গ্রাস করবে বলে আপনি কি নিদারুণ উদ্বেগাকুল হয়েছেন? 

 

অথবা বর্তমানে কোনই যজ্ঞাদি অনুষ্ঠিত হয় না বলে দেবতাদের উদ্দেশ্যে যজ্ঞ-উৎসর্গের ভাগ অপহৃত হচ্ছে, তাই আপনি কি ব্যাকুল হয়েছেন? কিংবা দুর্ভিক্ষ এবং অনাবৃষ্টির ফলে জীবদের দুঃখ-কষ্টের কথা ভেবে আপনি কি শোকাকুল হয়েছেন? কাণ্ডজ্ঞানবর্জিত মানুষদের দ্বারা পরিত্যক্ত অসহায় আশ্রয়হীন অসুখী স্ত্রীলোক এবং শিশুদের জন্য আপনি কি করুণা অনুভব করছেন? 

 

কিংবা ধর্মনীতি বিরোধী কার্যকলাপে মত্ত ব্রাহ্মণদের দ্বারা বাগদেবী পরিচালিত হচ্ছে বলে কি আপনি অসন্তুষ্ট হয়েছেন? অথবা যে সমস্ত শাসককুল ব্রাহ্মণ্য সংস্কৃতিকে মান্য করে না, ব্রাহ্মণেরা তাদেরই কাছে আশ্রয় নিয়েছে বলে আপনি কি দুঃখিত? 

 

তথাকথিত ক্ষত্রিয় শাসকবর্গ এখন এই কলিযুগের প্রভাবে বিভ্রান্ত হয়ে গেছে, আর = তাই তারা সমস্ত রাষ্ট্রীয় কার্যকলাপ বিপর্যক্ত করে ফেলেছে। আপনি কি এই বিপর্যয়ের জন্য শোকাভিভূত হয়েছেন? এখন সাধারণ লোকে আহার, নিদ্রা, পান, যৌন সংসর্গ ইত্যাদি ব্যাপারে বিধিনিয়মাদি কিছুই মেনে চলে না, আর সে-সব কাজ তারা যত্রতত্র ইচ্ছামতো করে থাকে। এর জন্য আপনি কি দুঃখিত?'

 

“হে ধরিত্রী মাতা, পরম পুরুষোত্তম ভগবান শ্রীহরি স্বয়ং পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণরূপে অবতারত্ব গ্রহণ করেছিলেন কেবলই আপনার প্রভূত ভার লাঘবের জন্য। এখানে তাঁর সকল লীলা সম্পাদনই অপ্রাকৃত, আর সেগুলি মোক্ষলাভের পথ সুদৃঢ় করে তোলে। 

 

এখন তিনি অন্তর্হিত হয়েছেন বলে আপনি নিশ্চয়ই তাঁর  লীলাকথা স্মরণ করছেন এবং মনে হয় সেগুলির অভাবে শোকাকুলা হচ্ছেন। হে মাতা বসুন্ধরা, সকল ঐশ্বর্যের আপনি আধার। অনুগ্রহ করে আপনার মনস্তাপের মূল কারণ আমাকে বলুন, যার ফলে আপনি দুঃখ ক্লেশে জর্জরিত হয়ে এমন দুর্বল ক্ষীণতনু হয়েছেন। 

 

আমার মনে হয়, কালের দারুণ প্রভাব যা অতি বলিষ্ঠকেও পরাভূত করে, তার দ্বারাই আপনার সমগ্র সৌভাগ্য অপহৃত হয়েছে, যে-সৌভাগ্য দেবতাদের দ্বারাও বন্দিত হত।”

 

ধরিত্রী (গাভী রূপী) তাই ধর্মরাজকে (বৃষ রূপ) উত্তর দিলেন—“হে ধর্মরাজ, আমার কাছে যা কিছু জানতে চেয়েছেন, সবই আপনি নিশ্চয়ই জানেন। সমস্ত প্রশ্নেরই আমি উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। একদা আপনিও চারটি পদের ওপরে অধিষ্ঠিত ছিলেন এবং পরমেশ্বর ভগবানের কৃপায় সারা বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের সুখ বর্ধন  করেছিলেন। 

 

তাঁর মধ্যে অধিষ্ঠিত রয়েছে (১) সত্যবাদিতা, (২) শুচিতা, (৩) অন্যের দুঃখে অসহনীয়তা,  (৪) ক্রোধ সংযমের ক্ষমতা, (৫) অল্পে তুষ্টি, (৬) ঋজুতা, (৭) মনের অচঞ্চলতা, (৮) বাহ্যেন্দ্রিয়াদির সংযম, (৯) কর্তব্য-অকর্তব্যের দায়িত্বজ্ঞান, (১০) সাম্যভাব,

 

 ■ (১১) সহনশীলতা, (১২) শত্রুমিত্র ভেদাভেদ-শূন্যতা,  (১৩) বিশ্বস্ততা, (১৪) জ্ঞান, (১৫) ইন্দ্ৰিয় তৃপ্তিতে বিতৃষ্ণা, (১৬) নেতৃত্ব, (১৭) শৌর্য, (১৮) প্রভাব, (১৯) সব কিছু সম্ভব করার ক্ষমতা, (২০) যথাযথভাবে দায়িত্ব কর্তব্য পালনের দক্ষতা, (২১) সম্পূর্ণ স্বতন্ত্রতা (পরাধীনতাশূন্য),

 

 (২২) কর্মকুশলতা, (২৩) সম্যক্‌ সৌন্দর্যের সম্পূর্ণতা, (২৪) উদ্বেগহীন ধৈর্য, (২৫) মৃদুতা, (২৬) অভিনবত্ব, (২৭) ভদ্রস্বভাব, (২৮) মুক্ত হস্তে দান-দাক্ষিণ্য, (২৯) দৃঢ় প্রতিজ্ঞা, (৩০) সকল জ্ঞানের পরিশুদ্ধি, (৩১) যথার্থ কর্ম প্রয়াস, (৩২) সকল ভোগ্যবস্তুতে অধিকার, 

 

(৩৩) উৎফুল্লতা, (৩৪) স্থৈর্য, (৩৫) নির্ভরযোগ্যতা, (৩৬) যশ, (৩৭) মাননীয়তা, (৩৮) গর্বশূন্যতা, (৩৯) ভগবত্তা, (৪০) নিত্যতা এবং অন্যান্য আরও অনেক অপ্রাকৃত গুণবৈশিষ্ট্যাদি যা নিত্য বিরাজমান ও যেগুলি কখনই তাঁর থেকে বিচ্ছিন্ন করা যায় না। 

 

সকল সাত্ত্বিকতা এবং সৌন্দর্যের আধার পুরুষোত্তম ভগবান পরমেশ্বর শ্রীকৃষ্ণ এই পৃথিবীর বুকে এখন তাঁর অপ্রাকৃত লীলা সংবরণ করেছেন। তাঁর অপ্রকটকালে কলিযুগ সর্বত্র তার প্রভাব বিস্তার করেছে, তাই আমি এই পরিস্থিতি লক্ষ্য করে দুঃখিত হচ্ছি।”


“হে দেবশ্রেষ্ঠ, তোমার এবং আমার নিজের এবং সকল দেবতা, ঋষি, পিতৃলোকবাসী, ভগবদ্ভক্তজন এবং মানব সমাজের বর্ণ ও আশ্রম প্রথার অনুসরণকারী সকলের অবস্থা বিবেচনা করে আমি শোক করছি। ব্রহ্মা প্রমুখ দেবতারা ভগবানের শরণাগত হওয়া সত্ত্বেও যে লক্ষ্মীদেবীর কিঞ্চিৎ করুণাকটাক্ষ লাভের আশায় বহুকাল তপস্যা করেছিলেন, 

 

সেই লক্ষ্মীদেবী তাঁর নিবাসস্থল পদ্মবন পরিত্যাগ করে অত্যন্ত অনুরাগ সহকারে যে শ্রীকৃষ্ণের নির্মল চরণকমলের সৌন্দর্য নিরস্তর সেবা করেন, সেই ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ধ্বজ, বজ্র, অঙ্কুশ ও পদ্ম আদি চিহ্নে চিহ্নিত শ্রীচরণের দ্বারা আমি সম্যরূপে অলংকৃত হয়েছিলাম, 

 

তখন ত্রিলোকের সমস্ত সৌন্দর্যই আমার সৌন্দর্যের কাছে পরাজিত হয়েছিল, কেননা আমি তখন ভগবানের কাছ থেকে বিভূতি লাভ করেছিলাম। তারপর যখন সেই বিভূতি নাশের সময় উপস্থিত হল, তখন আমার বড় গর্ব হল। বোধ হয়, সেই গর্ব খর্ব করার জন্যই ভগবান আমাকে ত্যাগ করেছেন।”


“হে মূর্তিমান ধর্ম, আমি যখন অসুরবংশীয় রাজাদের শত শত অক্ষৌহিণী রূপ গুরুভারে আক্রান্ত হয়েছিলাম, তখন ভগবান সেই অসুরদের সংহার করে আমার গুরুভার হরণ করেছিলেন। তেমনই তুমি দুর্দশাগ্রস্ত অবস্থায় যখন (পাদত্রয় বিহীন হয়ে) 

 

দাঁড়াবার ক্ষমতা হারিয়েছিলে, তখন তোমাকে সুস্থ করার জন্য তিনি তাঁর অন্তরঙ্গা শক্তির প্রভাবে যদুকুলে জন্মগ্রহণ করে পরম রমণীয় শরীর ধারণ করেছিলেন। যিনি প্রেমপূর্ণ অবলোকন, রুচির হাস্য ও মধুর সম্ভাষণ করলে, সত্যভামা প্রভৃতি মধুমানিনী কামিনীগণ ধৈর্য ও মান হারাতেন, যাঁর চরণ-চিহ্নে অলংকৃত হয়ে এবং চরণ স্পর্শ অনুভব করে আমার অঙ্গ পুলকিত হত, সেই পুরুষোত্তম ভগবানের বিরহ কে সহ্য করতে পারে?”

 

“পৃথিবী এবং ধর্ম যখন পরস্পর এই ভাবে কথোপকথন করছিলেন, তখন পরীক্ষিৎ নামক রাজর্ষি পূর্বদিকবাহিনী সরস্বতী নদীর তীরে উপস্থিত হলেন।”

আরও পড়ুন

* কল্কি অবতার কখন আবির্ভুত হবে

* দুর্গাপূজার কাহিনী, মা দুর্গা আসলে কে 

* শিব কে? কেন শিব বিষ পান করেছিলেন?   

* দ্রৌপদীর পঞ্চস্বামী’র রহস্য 

Next Post Previous Post
2 Comments
  • নয়ন গোলদার
    নয়ন গোলদার ১১ এপ্রিল, ২০২৩ এ ১০:১০ AM

    হরিবোল

  • নয়ন গোলদার
    নয়ন গোলদার ১১ এপ্রিল, ২০২৩ এ ১০:১০ AM

    হরিবোল

Add Comment
comment url