আমাদের হৃদয়ে ভগবান কোথায় থাকেন?
আমাদের হৃদয়ে ভগবান
শ্রীল শুকদেব গোস্বামী বললেন—“বিশ্বসৃষ্টির পূর্বে ব্রহ্মা বিরাট রূপের ধ্যান করার মাধ্যমে ভগবানের সন্তুষ্টি বিধান করে তাঁর লুপ্ত চেতনা ফিরে পেয়েছিলেন এবং এই বিশ্ব প্রলয়ের পূর্বে ঠিক যেমন ছিল ঠিক সেইভাবে তার সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছিলেন।”
“বৈদিক ধ্বনির দ্বারা প্রদর্শিত পথ এতই মোহময়ী যে, মানুষের বুদ্ধি স্বর্গ আদি অর্থহীন বিষয়ে ধাবিত হয়। বদ্ধ জীব স্বর্গলোকে অলীক সুখভোগের স্বপ্নে আবিষ্ট হয়, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সেই সমস্ত স্থানে সে কোনরকম প্রকৃত সুখ আস্বাদন করতে পারে না।
অতএব তত্ত্বজ্ঞানী ব্যক্তি উপাধিসমন্বিত এই জগতে কেবল নূন্যতম আবশ্যকতাগুলির জন্য প্রয়াস করবেন। তাঁর কর্তব্য বুদ্ধিমত্তা সহকারে স্থির হওয়া এবং কখনো অবাঞ্ছিত বস্তুর জন্য কোন রকম প্রয়াস না করা, কেননা তিনি ব্যবহারিকভাবে উপলব্ধি করেছেন যে, সেই সমস্ত প্রচেষ্টা কেবল অর্থহীন পরিশ্রম মাত্র।
ভূমিরূপ শয্যা থাকতে শয়নের জন্য খাট এবং পালঙ্কের কি প্রয়োজন? বাহু থাকতে উপাধানের কি প্রয়োজন? আর যখন অঞ্জলি বর্তমান, তখন বহুমূল্য পাত্রেরই বা কি প্রয়োজন? দিক্ ও বৃক্ষ বল্কলাদি থাকতে বস্ত্রের কি প্রয়োজন? পথে কি কোন জীর্ণ বস্ত্র পড়ে নেই? অন্যদের পালন করার জন্য যাদের অস্তিত্ব, সেই বৃক্ষরা কি আর ভিক্ষা দান করছে না?
নদীগুলি কি শুকিয়ে গেছে, যার ফলে তারা আর তৃষ্ণার্তকে জলদান করছে না? পর্বতের গুহাগুলি কি রুদ্ধ হয়ে গেছে, এবং সর্বোপরি সর্বশক্তিমান ভগবান কি শরণাগতকে আর রক্ষা করছেন না? তা হলে জ্ঞানবান মুনিঋষিরা কেন ঐশ্বর্যের গর্বে অন্ধ এবং প্রমত্ত ব্যক্তিদের তোষামোদ করতে যায়?
এইভাবে স্থির হয়ে তাঁর সর্বশক্তিমত্তার প্রভাবে সকলের হৃদয়ে বিরাজমান পরমাত্মার সেবা করা কর্তব্য। যেহেতু তিনি সর্বশক্তিমান পরমেশ্বর ভগবান, নিত্য এবং অন্তহীন, তিনিই জীবনের পরম লক্ষ্য এবং তাঁর আরাধনার ফলে মানুষ সংসারের হেতুরূপ অবিদ্যাকে দূর করতে পারে।
ঘোর জড়বাদী ছাড়া আর কে পারমার্থিক বিষয়ে চিন্তা না করে অনিত্য বিষয়ের চিন্তা করবে? দুঃখ-দুর্দশার নদী বৈতরণীতে পতিত হয়ে তাকে স্বীয় কর্মজাত ত্রিতাপ ভোগ করতে হয়, তা দেখা সত্ত্বেও পশু ছাড়া আর কোন্ ব্যক্তির বিষয়ে স্পৃহা হবে?
অন্যেরা (যোগীরা) তাঁদের দেহের অভ্যন্তরস্থ হৃদয় গহ্বরে বিরাজিত চতুর্ভুজ শঙ্খ-চক্র-গদা পদ্মধারী প্রাদেশমাত্র ধারণার দ্বারা স্মরণ করে থাকেন। তাঁর মুখমণ্ডল তাঁর প্রসন্নতা ব্যক্ত করছে।
তাঁর চক্ষুদ্বয় কমল দলের মতো আয়ত, এবং তাঁর বসন কদম্ব পুষ্পের কেশরের মতো পীত বর্ণ এবং তিনি বহু মূল্যবান রত্নসমূহের দ্বারা বিভূষিত। মহারত্নখচিত স্বর্ণময় কিরীট ও কুণ্ডল মহামূল্যবান মণিসমূহের দ্বারা দীপ্তিমান।
তাঁর শ্রীপাদপদ্ম মহান্ যোগীদের বিকশিত হৃদয় পদ্মের কর্ণিকারূপ আবাসে সংস্থাপিত। তাঁর বক্ষস্থলে শ্রীবৎস চিহ্নযুক্ত কৌস্তুভ-মণি শোভা পাচ্ছে এবং তাঁর স্কন্ধে নানাপ্রকার রত্নসমূহ, এবং তাঁর গলদেশ অম্লান শোভা সমন্বিত বনমালায় বেষ্টিত।
তাঁর কটিদেশ মেখলার দ্বারা এবং অঙ্গুলিগুলি বহুমূল্য রত্ন খচিত অঙ্গুরীর দ্বারা সুশোভিত। তাঁর অন্যান্য অঙ্গ নূপুর, কঙ্কণ আদি বহু মূল্যবান অলঙ্কারে সুসজ্জিত। তাঁর মুখমণ্ডল কুঞ্চিত স্নিগ্ধ অমল নীলবর্ণ কেশের দ্বারা অতিশয় শোভমান এবং হাস্য দ্বারা পরম মনোহর।
ভগবানের উদার লীলা এবং হাস্যযুক্ত কটাক্ষপাতে যে চমৎকার ভ্রূভঙ্গী দীপ্তিমান হয়, তাতে তাঁর অত্যন্ত অনুগ্রহ পুর্ণরূপে সূচিত হয়। তাই যতক্ষণ ধ্যানের দ্বারা মনকে নিবদ্ধ করা যায়, ততক্ষণই ভগবানের এই দিব্য রূপের উপর মনকে স্থির করা উচিত।
ভগবানের শ্রীপাদপদ্ম থেকে শুরু করে তাঁর হাস্যোজ্জ্বল মুখমণ্ডলের ধ্যান করা উচিত। প্রথমে তাঁর শ্রীপাদপদ্মে মনকে স্থির করা উচিত, তারপর গুলফ, তারপর জঙ্ঘা এবং এইভাবে উচ্চ থেকে। উচ্চতর অঙ্গের ধ্যান করা উচিত।
চিত্ত যত শুদ্ধ হবে, ধ্যান ততই গভীরতা লাভ করবে। যতক্ষণ পর্যন্ত স্থূল জড়বাদীদের জড় এবং চেতন উভয় জগতেরই দ্রষ্টা, পরমেশ্বর ভগবানে প্রেম ভক্তির উদয় না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের কর্তব্যকর্ম সম্পাদনের পর যত্নপূর্বক ভগবানের বিরাট রূপেরই ধ্যান করা উচিত।”
“হে রাজন, যোগী যখন এই মনুষ্যলোক ত্যাগ করতে ইচ্ছা করেন, তখন তাঁর উচিত উপযুক্ত স্থান এবং কালের চিন্তায় উদ্বিগ্ন না হয়ে সুখকর আসনে উপবিষ্ট হয়ে প্রাণ ও ইন্দ্রিয়সমূহকে মনের দ্বারা সংযত করা। তারপর, যোগীর কর্তব্য হচ্ছে তাঁর নির্মল বুদ্ধির দ্বারা তাঁর মনকে আত্মায় লীন করা এবং তারপর আত্মাকে পরমাত্মায় বিলীন করা।
তার ফলে পূর্ণরূপে তৃপ্ত জীব তৃপ্তির পরম অবস্থা লাভ করে অন্য সমস্ত কার্যকলাপ থেকে বিরত হন। সেই লব্ধোপশাস্তি স্তরে, স্বর্গের দেবতাদেরও নিয়ন্ত্র ও সংহারকারী কাল কোন প্রভাব বিস্তার করতে পারে না, আর সামান্য দেবতা—যারা প্রাকৃত জগতেই কেবল আধিপত্য করেন, তাঁরা কি প্রভাব বিস্তার করবেন?
সেখানে সত্ত্ব, রজো অথবা তমোগুণ এবং অহঙ্কার তত্ত্ব, জড় কারণ সমুদ্র, প্রধান বা প্রকৃতির কোনই প্রভাব নেই। যথার্থ পরমার্থবাদীরা জানেন যে, পরম পদে সব কিছুই পরমেশ্বর ভগবান শ্রীবিষ্ণুর সঙ্গে সম্পর্কিত, তাই তাঁরা যা কিছু ভগবানের সঙ্গে সম্পর্কবিহীন তা পরিত্যাগ করেন।
ভগবানের সঙ্গে পূর্ণ প্রীতির সম্পর্কে সম্পর্কিত শুদ্ধ ভক্তরা তাই কখনো বৈষম্যের সৃষ্টি করেন না, পক্ষান্তরে তাঁরা ভগবানের শ্রীপাদপদ্মকে হৃদয়ে ধারণ করে সর্বক্ষণ তাঁর আরাধনা করেন। এইভাবে মুনিরা ব্রহ্ম স্বরূপে অবস্থিত হয়ে শাস্ত্রজ্ঞানের প্রভাবে বিষয় বাসনাসমূহ সমূলে বিনষ্ট করে পাদমূলের দ্বারা মূলাধারকে রুদ্ধ করেন,
এবং প্রাণবায়ুকে ষটস্থানে উন্নীত করে তাঁদের জড় দেহ ত্যাগ করেন। ধ্যানপরায়ণ ভক্ত নাভি থেকে প্রাণবায়ুকে হৃদয়ে, তারপর সেখান থেকে কণ্ঠের অধোদেশস্থিত বিশুদ্ধ চক্রে নিয়ে যাবেন। তারপর জিতচিত্ত মুনি বুদ্ধির দ্বারা অনুসরণ করে তাকে ধীরে ধীরে তালুমূলে নিয়ে যাবেন।
তারপর ভক্তিযোগী তাঁর প্রাণবায়ুকে ভ্রূ-দ্বয়ের মধ্যে চালিত করে প্রাণবায়ুর বহির্গমনের সাতটি পথ, অর্থাৎ শোত্রদ্বয়, নেত্রদ্বয়, নাসিকাদ্বয় ও মুখগহ্বর রুদ্ধ করে তাঁর প্রকৃত আলয় ভগবদ্ধামে তাঁর লক্ষ্য স্থির করবেন। তিনি যদি সমস্ত জড় ভোগবাসনা থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত হন, তাহলে তিনি ব্রহ্মরন্ধ্র ভেদ করে সমস্ত জড় সম্পর্ক পরিত্যাগপূর্বক পরম গতি প্রাপ্ত হবেন।”
“হে রাজন, যোগীর যদি ব্রহ্মপদ, অষ্টসিদ্ধি, অথবা বৈহায়সদের সঙ্গে অন্তরীক্ষে ভ্রমণ করার বাসনাদি জড়ভোগের আকাঙ্ক্ষা থাকে, তা হলে তিনি দেহত্যাগের সময় মন ও ইন্দ্রিয়সমূহকে ত্যাগ না করে সেগুলি সহ সেই সেই লোকে ভোগার্থে গমন করবেন।
পরমার্থবাদীরা চিন্ময় শরীর লাভের প্রয়াসী। ভগবদ্ভক্তি, তপশ্চর্যা, যোগ এবং দিব্য জ্ঞানের প্রভাবে তাদের গতি জড় জগতের অন্তরে এবং বাহিরে অপ্রতিহত। সকাম কর্মীরা, অথবা জড়বাদীরা কখনো সেই প্রকার অপ্রতিহত গতিতে গমনাগমন করতে পারে না।
হে রাজন, এই প্রকার যোগীরা প্রথমে ছায়াপথে ব্রহ্মলোকের মার্গস্বরূপ জ্যোতিমন্ত্রী সুষুম্না নাড়ীর যোগে অগ্নির দেবতা বৈশ্বানর লোকে যান। এখানে তারা সম্পূর্ণরূপে কলুষ-বিধৌত হয়ে আরও ঊর্ধ্বে শিশুমার চক্রে যান, যেখানে তাঁরা পরমেশ্বর ভগবান শ্রীহরির সঙ্গে সম্পর্ক লাভ করেন।
এই শিশুমার সমগ্র ব্রহ্মাণ্ডের আবর্তনের কেন্দ্রবিন্দু, এবং তাকে বলা হয় শ্রীবিষ্ণুর (গর্ভোদকশায়ী বিষ্ণুর নাভি। যোগীরাই কেবল শিশুমার চক্র অতিক্রম করে মহলোক প্রাপ্ত হন যেখানে ভৃগু প্রভৃতি মহর্ষিরা ৪,৩০,০০,০০,০০০ সৌর বৎসর ব্যাপী দীর্ঘায়ু উপভোগ করেন।
এই গ্রহলোকটি আধ্যাত্মিক স্তরে অধিষ্ঠিত ঋষিদেরও পূজ্য। কল্পান্তে যখন অনস্তদেবের মুখাগ্নির দ্বারা লোকত্রয় দগ্ধ হয়, তখন তিনি শুদ্ধ মহাত্মাদের বিমানে করে সত্যলোকে গমন করেন। সত্যলোকের আয়ুষ্কাল ১,৫৪,৮০,০০,০০,০০,০০০ সৌর বৎসর।
সত্যলোকে শোক, জরা, মৃত্যু, দুঃখ, উদ্বেগ এই সমস্ত কিছুই নেই, কেবল চেতনা জনিত এক প্রকার দুঃখ রয়েছে। সেই দুঃখের কারণ এই যে, ভগবদ্ভক্তি সম্বন্ধে অজ্ঞ জড় জগতের বদ্ধ জীবদের অশেষ দুঃখ দর্শন করে তাদের প্রতি তাঁদের করুণার উদ্রেক হয়।
সত্যলোক প্রাপ্ত হওয়ার পর ভক্ত নির্ভীকভাবে বাহ্যত স্থূলদেহসদৃশ একটি সূক্ষ্ম দেহে প্রবেশ করেন এবং ক্রমান্বয়ে মৃত্তিকাত্ব থেকে জলমূর্তি প্রাপ্ত হন এবং তার জ্যোতির্ময় মূর্তি এবং বায়বীয় মূর্তি প্রাপ্ত হন, এবং অবশেষে আকাশ রূপ প্রাপ্ত হন।
এইভাবে ভক্ত ঘ্রাণেন্দ্রিয়ের গ্রাহ্য গন্ধ, রসনেন্দ্রিয়ের গ্রাহ্য রস, চক্ষুর গ্রাহ্য রূপ, ত্বকের গ্রাহ্য স্পর্শ, শ্রবণেন্দ্রিয়ের গ্রাহ্য আকাশের গুণ শব্দ, কর্মেন্দ্রিয়ের গ্রাহ্য জড় ক্রিয়া আদি সমূহকে অতিক্রম করেন।
এইভাবে ভক্ত স্থূলভূত, সুক্ষ্মভুত ও ইন্দ্রিয়সমূহের লয় স্থান এবং সাত্ত্বিক, রাজসিক ও তামসিক অহঙ্কার প্রাপ্ত হয়ে সেই অহঙ্কারের সঙ্গে বিজ্ঞান তত্ত্ব বা মহৎ তত্ত্বে গমন করেন, এবং তারপর তিনি শুদ্ধ আত্ম-উপলব্ধির স্তরে উন্নীত হন।
সম্পূর্ণরূপে যিনি পবিত্র হয়েছেন, কেবল তিনিই তাঁর স্বরূপ প্রাপ্ত হয়ে পূর্ণ আনন্দ এবং তৃপ্তির সঙ্গে পরমেশ্বর ভগবানের সঙ্গলাভ করতে পারেন। যিনি ভগবদ্ভক্তির এই পূর্ণতার স্তর লাভ করেছেন, তিনি আর কখনও এই জড় জগতের প্রতি আকৃষ্ট হন না এবং এখানে ফিরে আসেন না।”
“হে রাজন, আপনার প্রশ্নের উত্তরে আমি যা বললাম তা বেদের বর্ণনা বলে জানবেন এবং তা নিত্য সত্য। ব্রহ্মার আরাধনায় তুষ্ট হয়ে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ স্বয়ং তাঁকে তা বলেছিলেন। ব্রহ্মাণ্ডে ভ্রাম্যমাণ জীবদের ভগবানের প্রেমময়ী সেবার পন্থা ব্যতীত ভববন্ধন মোচনের আর কোন মঙ্গলময় পন্থা নেই।”
“মহাত্মা ব্রহ্মা, গভীর মনোনিবেশ সহকারে একাগ্রচিত্তে তিনবার বেদ অধ্যয়ন করেছিলেন, এবং তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিচার করে স্থির করেছিলেন যে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রতি আকর্ষণই হচ্ছে ধর্মানুষ্ঠানের পরম পূর্ণতা। পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ প্রতিটি জীবের হৃদয়ে অন্তর্যামীরূপে বিরাজ করেন। দর্শন দ্বারা এবং বুদ্ধি দ্বারা বিচারপূর্বক সেই সত্য অনুভব করা যায়।”
“হে রাজন, তাই প্রতিটি মানুষের কর্তব্য হচ্ছে সর্বত্র এবং সর্বদা সেই পরমেশ্বর ভগবান শ্রীহরির শ্রবণ, কীর্তন ও স্মরণ করা। যাঁরা ভক্তদের অত্যন্ত প্রিয় ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথামৃত কর্ণকুহরের দ্বারা পান করেন, তাঁরা বিষয় ভোগে দূষিত অন্তঃকরণকে পবিত্র করেন এবং ভগবানের শ্রীপাদপদ্মের সমীপে গমন করেন।”
আরও পড়ুনঃ
* শ্রীমদ্ভাগবত বক্তা- শুকদেব গোস্বামীর আবির্ভাব
* মহাভারতের মহারাজ পরীক্ষিতের জন্ম কথা
* কিভাবে পরীক্ষিৎ মহারাজ কলিযুগের সম্মুখীন হয়েছিলেন
* পৃথিবীতে কলি যুগের শুরুর সময়-কলির দন্ড ও পুরুষ্কার