শুকদেব গোস্বামীর আবির্ভাব

 
শুকদেব গোস্বামীর আবির্ভাব

 শ্রীমদ্ভাগবত বক্তা- শুকদেব গোস্বামীর আবির্ভাব


শ্রীসূত গোস্বামী বললেন—“রাজা (মহারাজ পরীক্ষিৎ) গৃহে প্রত্যাবর্তন করার সময় ভাবতে লাগলেন যে, তিনি একজন নির্দোষ এবং তেজস্বী ব্রাহ্মণের প্রতি অত্যন্ত জঘন্য এবং অশিষ্ট আচরণ করেছেন। তার ফলে তিনি অন্তরে অত্যন্ত ব্যথিত হয়েছিলেন।”


মহারাজ পরীক্ষিৎ ভাবলেন—“ভগবানের আদেশ অবমাননা করার ফলে অদূর ভবিষ্যতে আমার অবশ্যই ভয়ঙ্কর বিপদ সমুপস্থিত হবে, সেই বিষয়ে কোন সংশয় নেই।

 

সেই বিপদ শীঘ্রই উপস্থিত হোক, তা হলেই আমার পাপের উপযুক্ত প্রায়শ্চিত্ত হবে এবং পুনরায় আমি সেই প্রকার গর্হিত কর্মে প্রবৃত্ত হব না। ব্রাহ্মণ্য সংস্কৃতি, ভগবৎ চেতনা এবং গো-রক্ষায় অবহেলা করার ফলে আমি অত্যন্ত অসভ্য এবং পাপী।

 

তাই আমি চাই যে, আমার রাজ্য, পরাক্রম এবং ধন-সম্পদ ব্রাহ্মণের ক্রোধাগ্নিতে এক্ষণি ভস্ম হয়ে যাক্, যাতে আমি ভবিষ্যতে এই প্রকার অমঙ্গলজনক মনোভাবের দ্বারা কখনো প্রভাবিত না হতে পারি।”


“রাজা যখন এইভাবে অনুশোচনা করছিলেন, তখন তিনি সংবাদ পেলেন যে, ঋষিপুত্রের অভিশাপের ফলে তক্ষকের দংশনে অচিরেই তাঁর মৃত্যু হবে। 

 

রাজা সেই সংবাদটি শুভ সমাচার বলে মনে করেছিলেন, কারণ তার ফলে জাগতিক বিষয়ের প্রতি তাঁর বৈরাগ্য উৎপন্ন হবে। শ্রীকৃষ্ণের শ্রীপাদপদ্মের সেবা সর্ববিধ পুরুষার্থের সারাতিসার জেনে, মহারাজ পরীক্ষিৎ আত্ম-উপলব্ধির অন্য সমস্ত পন্থা পরিত্যাগ করে সেই শ্রীকৃষ্ণের শ্রীপাদপদ্মে তাঁর চিত্ত একাগ্র করার জন্য সুরধুনী গঙ্গার তীরে প্রায়োপবেশন করলেন।

 

 যে সুরধনী শ্রীকৃষ্ণের চরণরেণু বিমিশ্রিত তুলসীদলের সংস্পর্শে সর্বোৎকৃষ্ট সলিলরাশি বহন করছে; যিনি মহাদেব পর্যন্ত দেবতাদের অন্তর এবং বাহির উভয় পবিত্র করছেন, মৃত্যু নিকটবর্তী জেনে কোন্ মানুষ সেই পবিত্র ভাগীরথীর সেবা না করবে?”


“পাণ্ডবদের উপযুক্ত বংশধর পরীক্ষিৎ মহারাজ তখন স্থির করেছিলেন যে, গঙ্গার তীরে উপবেশন করে আমরণ অনশন করবেন এবং মুক্তিদাতা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শ্রীপাদপদ্মে নিজেকে সম্পূর্ণ রূপে নিবেদন করবেন। 

 

তাই, সব রকম আসক্তি এবং সঙ্গ পরিত্যাগ করে তিনি মুনিদের মতো শান্তভাব অবলম্বন করেছিলেন। সেই সময় ভুবনপাবন মহানুভব মুনিরা তাঁদের শিষ্যসহ সেখানে এসে উপস্থিত হলেন। 

 

সাধুরা স্বয়ংই তীর্থ স্বরূপ, তাঁরা তীর্থগমনছলে তীৰ্থসকলকে পবিত্র করেন। অত্রি, বশিষ্ঠ, চ্যবন, শরদ্বান, অরিষ্টনেমি, ভৃগু, অঙ্গিরা, পরাশর, বিশ্বামিত্র, পরশুরাম, উতথ্য, ইন্দ্রপ্রমদ, ইখ্মবাহ, মেধাতিথি, দেবল, আষ্টিষেণ, ভারদ্বাজ, গৌতম, পিপ্পলাদ, মৈত্রেয়, ঔর্ব, কবষ, কুম্ভযোনি, দ্বৈপায়ন, ভগবান নারদ প্রমুখ মহর্ষিরা ব্রহ্মাণ্ডের বিভিন্ন স্থান থেকে সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন। 

 

এ ছাড়া অন্য অনেক দেবর্ষি, মহর্ষি এবং রাজর্ষি এবং অরুণ আদি ঋষিগণ সেখানে এসে উপস্থিত হয়েছিলেন। সমবেত শ্রেষ্ঠ ঋষিদের দর্শন করে রাজা তাঁদের যথাবিধি পূজা করলেন এবং মস্তক দ্বারা ভূমি স্পর্শ করে তাঁদের প্রণাম করলেন। তারপর, তাঁরা সকলেই যখন সুখে উপবেশন করলেন, তখন রাজা তাঁদের পুনরায় প্রণাম করলেন এবং বিনীতভাবে কৃতাঞ্জলিপুটে তাঁর প্রায়োবেশনের অভিলাষের কথা জানালেন।”

 

সেই ভাগ্যবান রাজা বললেন—“আমরা যথার্থই মহাত্মাদের কৃপা লাভের শিক্ষায় শিক্ষিত অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল রাজাদের মধ্যে মহা সৌভাগ্যবান। সাধারণত আপনারা (মহর্ষিরা) মনে করেন যে, রাজকুল আবর্জনার মতো দুরে বর্জনীয়। চিন্ময় ও জড় জগতের নিয়স্তা পরমেশ্বর ভগবান ব্রাহ্মণের শাপরূপে আমাকে অত্যন্ত কৃপা করেছেন। 

 

আমি নিরন্তর গৃহের প্রতি অত্যন্ত আসক্ত ছিলাম, কিন্তু ভগবান আমাকে রক্ষা করার জন্য এমনভাবে আমার সম্মুখে উপস্থিত হয়েছেন যে, ভয়ের বশে আমি এই জগতের প্রতি বিরক্ত হব।”


“হে ব্রাহ্মণগণ, আমাকে সম্পূর্ণরূপে আত্মসমর্পিত বলে গ্রহণ করুন এবং ভগবানের প্রতিনিধি মা গঙ্গাও আমাকে সেইভাবে স্বীকার করুন, কেননা আমি ভগবানের শ্রীপাদপদ্ম আমার হৃদয়ে ধারণ করেছি। এখন ব্রাহ্মণ তনয় প্রেরিত তক্ষকই হোক বা কুহকই হোক আমাকে দংশন করুক। 

 

আমার একমাত্র বাসনা যে, আপনারা সকলে ভগবান শ্রীবিষ্ণুর লীলাসমূহ কীর্তন করুন। আমি সমস্ত প্রণতি নিবেদন করে পুনরায় প্রার্থনা করছি যে, যদি আমাকে আবার এই জগতে জন্মগ্রহণ করতে হয়, তবে যেন অনন্ত ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রতি আমার পূর্ণ আসক্তি থাকে, আমি যেন সর্বদা তাঁর ভক্তদের সঙ্গ লাভ করতে পারি এবং সমস্ত জীবের প্রতি যেন আমার মৈত্রীভাব থাকে। 

 

সম্পূর্ণরূপে আত্ম-সংযত মহারাজ পরীক্ষিৎ তাঁর পুত্রের হাতে রাজ্যভার ন্যস্ত করে, গঙ্গার দক্ষিণ তীরে পূর্ণমুল কুশাসনে উত্তরমুখী হয়ে উপবেশন করলেন।”


“মহারাজ পরীক্ষিৎ যখন এইভাবে প্রায়োপবেশন করলেন, তখন স্বর্গের দেবতারা তাঁর কার্যের প্রশংসা করে পুষ্পবৃষ্টি করতে লাগলেন এবং দুন্দুভি বাজাতে লাগলেন। সেখানে সমবেত সমস্ত মহর্ষিরা মহারাজ পরীক্ষিতের সংকল্পের প্রশংসা করলেন এবং 'সাধু' 'সাধু' বলে তা অনুমোদন করলেন। 

 

ঋষিরা স্বভাবতই সাধারণ মানুষদের কল্যাণ সাধনে উন্মুখ, কারণ তাঁরা পরমেশ্বর ভগবানের সমস্ত গুণে গুণান্বিত। তাই তাঁরা ভগবদ্ভক্ত মহারাজ পরীক্ষিতকে দেখে অত্যন্ত প্রসন্ন হয়েছিলেন এবং বলেছিলেন, 'হে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নিষ্ঠাপরায়ণ অনুসরণকারী পাণ্ডু বংশীয় রাজর্ষিদের কুলতিলক! 

 

আপনি যে পরমেশ্বর ভগবানের নিত্য সান্নিধ্য লাভের জন্য বহু রাজাদের রাজমুকুটে শোভিত আপনার সিংহাসন পরিত্যাগ করেছেন, তাতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। 

 

যতক্ষণ পর্যন্ত ভগবানের শ্রেষ্ঠ ভক্ত মহারাজ পরীক্ষিৎ সমস্ত জড় কলুষ এবং সর্ব প্রকার শোক থেকে পূর্ণরূপে মুক্ত হয়ে পরম ধামে ফিরে না যান, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা সকলে এখানে প্রতীক্ষা করব। ”


“ঋষিরা যা বলেছেন তা অত্যন্ত শ্রুতিমধুর, গম্ভীর অর্থপূর্ণ এবং পূর্ণরূপে সত্য ছিল। তাই তা শুনে মহারাজ পরীক্ষিৎ শ্রীকৃষ্ণের কার্যকলাপ শোনবার অভিলাষে সেই মহর্ষিদের অভিনন্দন জানিয়ে বলতে লাগলেন—'হে মহর্ষিগণ! আপনারা সকলে অত্যন্ত কৃপাপরবশ হয়ে ব্রহ্মাণ্ডের সমস্ত দিক থেকে এখানে এসেছেন। 

 

আপনারা সকলে ত্রিভুবনের ঊর্ধ্বে (সত্যলোকে) বিরাজমান মূর্তিমান বেদসমূহের মতো। কেননা অপরের প্রতি অনুগ্রহ করাই আপনাদের স্বভাব এবং তা ছাড়া এই জীবনে অথবা পরবর্তী জীবনে আপনাদের কোন স্বার্থ নেই। 

 

হে বিশ্বাসভাজন ব্রাহ্মণগণ! আমি এখন আপনাদের কাছে আমার আসন্ন কর্তব্য সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করছি। দয়া করে, যথাযথভাবে বিচার করে আমাকে বলুন, সমস্ত পরিস্থিতিতে প্রতিটি মানুষের, বিশেষ করে যে মানুষ মরণোন্মুখ, তার অবশ্য কর্তব্য কি।' '


“তখন ব্যাসদেবের শক্তিমান পুত্র যদৃচ্ছাক্রমে পৃথিবী পর্যটন করতে করতে সেখানে এসে উপস্থিত হলেন। তিনি ছিলেন বহির্বিষয়ে উদাসীন, কোন আশ্রম বিশেষের চিহ্নবিহীন, আত্মারাম এবং অবধূত বেশধারী। তাঁকে পাগল ভেবে নারী ও বালকেরা বেষ্টন করেছিল। 

 

ব্যাসদেবের সেই পুত্রের বয়স ছিল ষোল বছর। তাঁর চরণ, হাত, জঙ্ঘা, বাহু, স্কন্ধ, কপোল এবং দেহের অন্যান্য সমস্ত অঙ্গগুলি অত্যন্ত সুন্দরভাবে গঠিত ছিল। তাঁর চোখ দুটি ছিল অত্যন্ত সুন্দর ও আকর্ণ বিস্তৃত, তাঁর নাসিকা ছিল উন্নত এবং কান দুটি ছিল ঠিক এক মাপের। 

 

তাঁর মুখমণ্ডল ছিল অত্যন্ত আকর্ষণীয় এবং তাঁর কণ্ঠদেশ ছিল অত্যন্ত সুগঠিত এবং শঙ্খের মতো সুন্দর। তাঁর কন্ঠের অধঃভাগের অস্থি মাংসের দ্বারা আবৃত, বক্ষস্থল বিশাল সমুন্নত, নাভিমণ্ডল গভীর আবর্তের মতো, উদর ত্রিবলী রেখায় অঙ্কিত। 

 

তাঁর বাহুযুগল দীর্ঘ এবং কুঞ্চিত কেশদাম তাঁর সুন্দর মুখমণ্ডলের উপর ইতস্তত বিকীর্ণ। দিকসমূহই তাঁর বস্ত্র এবং তাঁর অঙ্গকান্তি অমরোত্তম শ্রীকৃষ্ণের মতো অতি রমণীয়। তাঁর অঙ্গকান্তি শ্যামবর্ণ এবং নবযৌবনজনিত অত্যন্ত সুন্দর। 

 

তাঁর দেহের সৌন্দর্য এবং মধুর হাসি রমণীদের কাছে রমণীয় ছিল। যদিও তিনি তাঁর স্বাভাবিক মহিমা লুকাবার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু সেখানে উপস্থিত মহর্ষিরা ছিলেন দেহের লক্ষণ বিচারে পটু, এবং তাই তাঁকে এক মহাপুরুষরূপে চিনতে পেরে তাঁরা তাঁদের আসন থেকে উঠে দাঁড়িয়ে তাঁকে সম্মান প্রদর্শন করলেন। 

 

মহারাজ পরীক্ষিৎ, যিনি শ্রীবিষ্ণু কর্তৃক রক্ষিত হওয়ার ফলে, বিষ্ণুরাত নামে পরিচিত, অবনতমস্তকে তাঁর মুখ্য অতিথি শুকদেব গোস্বামীকে স্বাগত জানালেন। তখন শুকদেবের অনুগামী নির্বোধ বালক বালিকারা দূরে পলায়ন করল। 

 

শুকদেব গোস্বামী সকলের শ্রদ্ধা গ্রহণ করে শ্রেষ্ঠ আসনে উপবেশন করলেন। সেই সভায় ব্রহ্মর্ষি, রাজর্ষি এবং দেবর্ষিসমূহে পরিবৃত হয়ে মহা বীর্যবান শুকদেব তখন গ্রহ-নক্ষত্র-তারকারাজিতে পরিবেষ্টিত চন্দ্রের মতো অতি অপূর্ব শোভা ধারণ করেছিলেন। 

 

তখন মুনিবর শুকদেব গোস্বামী প্রশান্ত চিত্তে উপবেশন করলেন। তাঁর বুদ্ধি ছিল অত্যন্ত তীক্ষ্ণ এবং তিনি নিঃসংকোচে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে প্রস্তুত ছিলেন। পরম ভাগবত মহারাজ পরীক্ষিৎ তখন তাঁর কাছে এসে অবনতমস্তকে প্রণতি নিবেদন করলেন, এবং হাত জোড় করে সুমধুর বচনে তাঁকে প্রশ্ন করতে লাগলেন।”


ভাগ্যবান রাজা পরীক্ষিৎ বললেন—“হে ব্রাহ্মণ। আপনি কৃপা করে আমার অতিথিরূপে উপস্থিত হয়ে আমাদের তীর্থের মতো পবিত্র করেছেন। আপনার কৃপায় আমরা অযোগ্য ক্ষত্রিয় হওয়া সত্ত্বেও ভক্তদের সেবা করার যোগ্যতা অর্জন করেছি।

 

 কেবলমাত্র আপনাকে স্মরণ করার ফলে আমাদের গৃহ তৎক্ষণাৎ পবিত্র হয়ে যায়, অতএব আপনাকে দর্শন, স্পর্শন, পাদ প্রক্ষালন এবং গৃহে আসনাদি দান করার ফলে যে কি লাভ হয়, তা কে বর্ণনা করতে পারে! হে মহাযোগী। 

 

বিষ্ণুর সান্নিধ্য মাত্রই যেমন অসুরেরা বিনাশ প্রাপ্ত হয়, তেমনই আপনার দর্শন মাত্রই জীবের মহা পাতকসমূহ তৎক্ষণাৎ‍ নাশ প্রাপ্ত হয়। পাণ্ডবদের অত্যন্ত প্রিয় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ, তাঁর ভাইদের প্রীতি সম্পাদনের জন্য আমাকে তাঁর আত্মীয়রূপে স্বীকার করেছেন। 

 

তা না হলে কি আমাদের মতো পাপিষ্ঠ মানুষ কখনও এই আসন্ন মৃত্যুকালে আপনার দর্শন লাভ করতে পারত? কেননা আপনার মতো মহাপুরুষেরা আপনাদের পরিচয় গোপন রেখে অদৃশ্যভাবে বিচরণ করেন। আপনি পরম যোগী এবং ভক্তদেরও গুরু। 

 

তাই আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করছি আপনি সকলের এবং বিশেষ করে যে-মানুষের মৃত্যু আসন্ন, তার সিদ্ধিলাভের পন্থা প্রদর্শন করুন। দয়া করে আমাকে বলুন মানুষের কি শ্রবণ করা উচিত, কীর্তন করা উচিত, স্মরণ করা উচিত এবং ভজন করা উচিত, আর তার যা করা উচিত নয়, তাও আমাকে কৃপা করে বলুন। 

 

হে মহা তেজস্বী ব্রাহ্মণ! আপনার দর্শন অত্যন্ত দুর্লভ। শোনা যায় যে, যে সময়ের মধ্যে একটি গাভী দোহন করা যায়, আপনি ততক্ষণও কোনও গৃহস্থের গৃহে অবস্থান করেন না।"


শ্রীসুত গোস্বামী বললেন, "রাজা পরীক্ষিৎ মধুর সম্ভাষণে এইভাবে প্রশ্ন করার পর, সেই ধর্মজ্ঞ মহাপুরুষ, ভগবান ব্যাসনন্দন শুকদেব উত্তর দিতে শুরু করলেন।”

আরও পড়ুনঃ

* মহারাজ পরীক্ষিৎ ব্রাহ্মণ বালকের দ্বারা অভিশপ্ত হওয়ার কারণ

* মহাভারতের মহারাজ পরীক্ষিতের জন্ম কথা 

* কিভাবে পরীক্ষিৎ মহারাজ কলিযুগের সম্মুখীন হয়েছিলেন 

* পৃথিবীতে কলি যুগের শুরুর সময়-কলির দন্ড ও পুরুষ্কার 



 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url