ক্ষীর সমুদ্র মন্থন কাহীনি

ক্ষীর সমুদ্র মন্থন করে কি কি পাওয়া গিয়েছিল

শ্রীল শুকদেব গোস্বামী বললেন-“মহাদেব সেই বিষ পান করলে, দেবতা এবং দানবেরা অত্যন্ত প্রসন্ন হয়ে বলপূর্বক সমুদ্র মন্থন আরম্ভ করলেন। তার ফলে সুরভি গাভী উত্থিতা হলেন। 

হে মহারাজ পরীক্ষিৎ, ব্রহ্মবাদী ঋষিগণ যজ্ঞে আহুতি নিবেদন করার উদ্দেশ্যে দধি, দুগ্ধ এবং ঘৃত লাভের জন্য সুরভীকে গ্রহণ করেছিলেন। ব্রহ্মলোক পর্যন্ত উচ্চতর লোকে উন্নীত হওয়ার উদ্দেশ্যে যজ্ঞ করার আয়োজনে শুদ্ধ ঘি লাভের জন্য তাঁরা সুরভীকে গ্রহণ করেছিলেন। 

 

তারপর, উচ্চৈঃশ্রবা নামক চন্দ্রের মতো শ্বেতবর্ণ অশ্ব উত্থিত হয়েছিল। বলি মহারাজ সেই অশ্ব গ্রহণ করতে অভিলাষ করেছিলেন এবং ভগবানের উপদেশ অনুসারে দেবরাজ ইন্দ্র তার প্রতিবাদ করেননি। 

 

মন্থনের ফলে তারপর ঐরাবত নামক হস্তীরাজ উত্থিত হয়েছিল। সেই হস্তী শ্বেতবর্ণ এবং শিবের মহিমান্বিত ধাম কৈলাসের মহিমা তিরস্কারকারী চারটি দন্ত সমন্বিত।”


“হে রাজন, তারপর, ঐরাবণ আদি আটটি দিগজ এবং অভ্রমু প্রমুখা আটটি হস্তিনী উৎপন্ন হয়েছিল। তারপর মহাসমুদ্র থেকে বিখ্যাত কৌস্তুভ মণি এবং পদ্মরাগ মণি উত্থিত হয়েছিল।

 

ভগবান বিষ্ণু তাঁর বক্ষ অলঙ্কৃত করার জন্য তাদের গ্রহণ করতে অভিলাষ করেছিলেন। তারপর স্বর্গলোককে অলঙ্কৃত করে যে পারিজাত পুষ্প তা উত্থিত হয়েছিল। হে রাজন, আপনি যেমন এই পৃথিবীতে সকলের অভিলাষ পূর্ণ করেন, এই পারিজাতও তেমন সকলের বাসনা পূর্ণ করে।

তারপর অপ্সরাগণ (স্বর্গের বেশ্যাগণ) আবির্ভূত হয়েছিল। তারা স্বর্ণ আভরণ ও কণ্ঠহারে বিভূষিতা, সূক্ষ্ম বস্ত্র পরিহিতা এবং তাদের মন্থর আকর্ষণীয় গতি স্বর্গবাসীদের চিত্ত হরণ করে। তারপর রমাদেবী আবির্ভূত হয়েছিলেন, যিনি সর্বতোভাবে ভগবৎ-পরায়ণা এবং কেবল ভগবানেরই ভোগ্যা। 

 

 

তিনি সুদাম পর্বত থেকে জাতা বিদ্যুতের মতো - তাঁর কান্তির দ্বারা সর্বদিক রঞ্জিত করে আবির্ভূত - হয়েছিলেন। তাঁর অতুলনীয় সৌন্দর্য, দেহের লাবণ্য,  যৌবন, অঙ্গকান্তি এবং মহিমার ফলে 'দেব, দানব এবং মানব সকলেই তাঁকে বাসনা করেছিলেন। 

 

তাঁরা সকলেই - তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন, কারণ তিনি হচ্ছেন সমস্ত ঐশ্বর্যের উৎস। লক্ষ্মীদেবীর উপবেশনের জন্য দেবরাজ ইন্দ্র উপযুক্ত সিংহাসন নিয়ে এলেন। গঙ্গা, যমুনা আদি শ্রেষ্ঠ নদীসমূহ মূর্তিমতী হয়ে লক্ষ্মীদেবীর জন্য স্বর্ণ কলসে পবিত্র জল নিয়ে এলেন।

 

 

ভূমি মূর্তিমতী হয়ে ২ অভিষেকের অনুকূল সমস্ত ঔষধি নিয়ে এলেন। গাভীরা - পঞ্চগব্য-দুগ্ধ, দধি, ঘি, গোমূত্র এবং গোময় প্রদান করল এবং বসন্ত ঋতু চৈত্র ও বৈশাখ মাসে যে সমস্ত ফুল ও ফল উৎপন্ন হয় তা নিয়ে এল। 

 

মহর্ষিগণ শাস্ত্রবিধি অনুসারে লক্ষ্মীদেবীর অভিষেক করেছিলেন, গন্ধর্বগণ মঙ্গলময় বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণ করেছিলেন এবং নর্তকীগণ বেদবিহিত সঙ্গীত ও নৃত্য করেছিলেন। মেঘসমূহ মূর্তিমন্ত হয়ে মৃদঙ্গ, পণব, মুরজ, আনক, শঙ্খ, বেণু, বীণা প্রভৃতি বাজিয়েছিল এবং সেই সমস্ত বাদ্যযন্ত্রের ধ্বনি তুমুলভাবে নিনাদিত হয়েছিল। 

 

 

তারপর, দিগৃহস্তীসমূহ গঙ্গাজলে পূর্ণ কলসের দ্বারা লক্ষ্মীদেবীকে স্নান করিয়েছিল এবং ব্রাহ্মহ্মণেরা তখন বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণ করেছিলেন। তখন তাঁর হাতে পদ্মফুল ছিল এবং তিনি অপূর্ব সৌন্দর্যমণ্ডিতা ছিলেন। 

 

 

সতী লক্ষ্মী তাঁর পতি ভগবান ব্যতীত অন্য কাউকে জানেন না। রত্নাকর উত্তরীয় ও পরিধেয় পীতবর্ণ রেশমের বস্ত্র প্রদান করেছিলেন। জলের অধিষ্ঠাতৃ দেবতা বরুণ মধুপানে উন্মত্ত মধুকরদের দ্বারা পরিবেষ্টিত বৈজয়ন্তী মালা উপহার প্রদান করেছিলেন। 

 

 

প্রজাপতিদের অন্যতম বিশ্বকর্মা বিচিত্র অলঙ্কারসমূহ দান করেছিলেন। বিদ্যার অধিষ্ঠাত্রী সরস্বতী কণ্ঠহার, ব্রহ্মা পদ্ম এবং নাগগণ কর্ণকুণ্ডল উপহার দিয়েছিলেন। তারপর লক্ষ্মীদেবী শুভ অনুষ্ঠানের দ্বারা যথাযথভাবে পূজিত হয়ে, গুঞ্জনরত ভ্রমর বেষ্টিত পদ্মমালা হস্তের দ্বারা গ্রহণ করে গতিশীল হয়েছিলেন। 

 

 

তাঁর সলজ্জ হাস্য এবং কুণ্ডলের দ্বারা শোভিত কপোলের সৌন্দর্য প্রভাবে তিনি অপূর্ব সৌন্দর্যে মণ্ডিত হয়েছিলেন। তাঁর সুষম ও সুবিন্যস্ত স্তনযুগল চন্দন এবং কুঙ্কুমে লিপ্ত এবং তাঁর কটিদেশ অত্যন্ত ক্ষীণ। 

 

 

তিনি মনোহর নূপুর ধ্বনি সহকারে যখন ইতস্তত পরিভ্রমণ করছিলেন, তখন একটি স্বর্ণলতিকার মতো শোভা পাচ্ছিলেন। গন্ধর্ব, যক্ষ, অসুর, সিদ্ধ, চারণ এবং দেবতাদের মধ্যে অনুসন্ধান করে, লক্ষ্মীদেবী স্বভাবতই সর্বগুণ সমন্বিত কাউকে খুঁজে পেলেন না। 

 

 

তাঁরা কেউই দোষ রহিত ছিল না এবং তাই তিনি তাঁদের কারোরই আশ্রয় গ্রহণ করতে পারলেন না। লক্ষ্মীদেবী সেই সভাস্থ সকলকে পরীক্ষা করে মনে মনে চিন্তা করেছিলেন-এদের মধ্যে কেউ কঠোর তপস্যা করেছেন, কিন্তু ক্রোধ জয় করতে পারেননি। 

 

 

কারও জ্ঞান আছে, কিন্তু ফলভোগের আকাঙক্ষা জয় করতে পারেননি। কেউ অত্যন্ত মহান, কিন্তু কাম জয় করতে পারেননি। এমন কি মহান ব্যক্তিও অন্য কারও উপর নির্ভর করেন।

 

 

তা হলে তিনি পরম ঈশ্বর হবেন কি করে? কারও পূর্ণরূপে ধর্ম সম্বন্ধীয় জ্ঞান থাকতে পারে, কিন্তু তবুও তিনি সমস্ত জীবের প্রতি দয়ালু নন। কারও মধ্যে, তা তিনি মানুষই হোন অথবা দেবতাই হোন, ত্যাগ থাকতে পারে, কিন্তু তা মুক্তির কারণ নয়। 

 

কেউ মহা শক্তিশালী হতে পারেন, কিন্তু তিনি কালের প্রভাব অতিক্রম করতে সমর্থ নন। কেউ জড় জগতের আসক্তি ত্যাগ করেছেন, কিন্তু ভগবানের সঙ্গে তাঁর তুলনা হয় না। তাই কেউই জড়া প্রকৃতির গুণের প্রভাব থেকে পূর্ণরূপে মুক্ত হতে পারেননি। 

 

 

কারও দীর্ঘ আয়ু থাকতে পারে, কিন্তু মঙ্গল বা সৎ আচরণ নেই। কারও মঙ্গল এবং সৎ আচরণ উভয়ই থাকতে পারে, কিন্তু তাঁর আয়ু স্থির নয়। যদিও শিব আদি দেবতাদের নিত্য জীবন রয়েছে, কিন্তু শ্মশানে বাস করা আদি অশুভ অভ্যাস রয়েছে। আর কেউ যদি সর্বতোভাবে সদ্‌গুণ সম্পন্ন হনও, তবুও তাঁরা ভগবানের ভক্ত নন।"


শ্রীল শুকদেব গোস্বামী বললেন- "এইভাবে পূর্ণরূপে বিবেচনা করার পর, লক্ষ্মীদেবী মুকুন্দকে তাঁর পতিরূপে বরণ করেছিলেন, যদিও তিনি (মুকুন্দ) সম্পূর্ণরূপে স্বতন্ত্র এবং তাঁকে (লক্ষ্মীদেবীকে) লাভ করার অভিলাষী ছিলেন না। 

 

 

তিনি সমস্ত দিব্য গুণ ও যোগশক্তি সমন্বিত এবং তাই তিনি পরম বাঞ্ছনীয়। লক্ষ্মীদেবী ভগবানের সমীপবর্তী হয়ে তাঁর গলদেশে মধুমত্ত ভ্রমর নিনাদিত নব বিকশিত পদ্মফুলের মালা স্থাপন করেছিলেন। 

 

 

তারপর তাঁর বক্ষে স্থান লাভ করার আশায় সলজ্জ হাস্য-বিকশিত নয়নে তাঁর পাশে অবস্থান করতে লাগলেন। ভগবান ত্রিজগতের পিতা এবং তাঁর বক্ষঃস্থল সমস্ত ঐশ্বর্যের অধিষ্ঠাত্রী ত্রিজগতের জননী লক্ষ্মীদেবীর বাসস্থান। 

 

 

লক্ষ্মীদেবী তাঁর কৃপাপূর্ণ দৃষ্টিপাতের প্রভাবে, প্রজা ও লোকপাল দেবতাগণ সহ ত্রিজগতের ঐশ্বর্য বর্ধিত করতে পারেন।

 


গন্ধর্ব এবং চারণেরা তখন শঙ্খ, তুর্য ও মৃদঙ্গ আদি বাদ্যযন্ত্র বাজাতে শুরু করেছিলেন এবং তাঁদের পত্নীগণ সহ তাঁরা নৃত্য-গীত করতে শুরু করেছিলেন। ব্রহ্মা, শিব, অঙ্গিরা প্রমুখ ব্রহ্মাণ্ডের ব্যবস্থাপনার নির্দেশকেরা পুষ্পবর্ষণ করেছিলেন এবং ভগবানের মহিমাজ্ঞাপক মন্ত্র উচ্চারণ করেছিলেন। 

 

 

প্রজাপতি এবং প্রজাগণ' সহ সমস্ত দেবতারা লক্ষ্মীদেবীর কৃপাদৃষ্টির প্রভাবে অচিরেই সৎ আচরণ এবং দিব্য গুণাবলী সম্পন্ন হয়ে পরমানন্দ লাভ করেছিলেন।"

 


“হে রাজন, লক্ষ্মীদেবী কর্তৃক উপেক্ষিত হওয়ার ফলে দৈত্য ও দানবেরা দুর্বল, মোহাচ্ছন্ন ও নিরুদ্যম হয়েছিল এবং তার ফলে তারা নির্লজ্জ হয়েছিল। তারপর সুরার অধিষ্ঠাত্রী কমলনয়না বারুণীদেবী উত্থিত হয়েছিল। 

 

 

ভগবান শ্রীকৃষ্ণের অনুমতিক্রমে বলি মহারাজ প্রমুখ দানবেরা সেই কন্যাকে গ্রহণ করেছিলেন।"

 


"হে রাজন, তারপর, কশ্যপের পুত্র দেবতা এবং দানবেরা ক্ষীরসমুদ্র মন্থন করতে থাকলে, এক পরম অদ্ভুত পুরুষ উত্থিত হয়েছিলেন। তাঁর শরীর সুদৃঢ়, তাঁর বাহুযুগল দীর্ঘ এবং বলিষ্ঠ, তাঁর কণ্ঠ শঙ্খের মতো ত্রিরেখাঙ্কিত, তাঁর নয়ন অরুণবর্ণ এবং তাঁর অঙ্গকান্তি শ্যামবর্ণ ছিল। 

 

 

তিনি তরুণ বয়স্ক, বনমালী এবং তাঁর দেহ সর্বপ্রকার অলঙ্কারে বিভূষিত। তিনি পীত বসন এবং সুমার্জিত মণিময় কুণ্ডলধারী। তাঁর কেশাগ্র ভাগ স্নিগ্ধ ও সুকুঞ্চিত এবং তাঁর বক্ষস্থল সুপ্রশস্ত। তাঁর দেহ সর্ব সুলক্ষণ সমন্বিত এবং সিংহের মতো বিক্রমশালী। সেই পুরুষ বলয় শোভিত হস্তে অমৃতপূর্ণ কলস ধারণ করেছিলেন। তিনি সাক্ষাৎ ভগবান বিষ্ণুর অংশের অংশসম্ভূত ধন্বন্তরি। তিনি আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে অভিজ্ঞ এবং যজ্ঞভাগ লাভের অধিকারি দেবতাদের অন্যতম।"

 


"ধন্বন্তরিকে অমৃতকলস বহন করতে দেখে, অসুরেরা সেই কলস এবং তার ভিতর যা কিছু ছিল তা সব লাভ করার ইচ্ছায় বলপূর্বক সেই অমৃতভাণ্ড হরণ করেছিল। অসুরেরা এইভাবে অমৃতকলস হরণ করে নিলে, দেবতারা বিষণ্ণ চিত্তে ভগবান শ্রীহরির শরণ গ্রহণ করেছিলেন।

 

 

ভক্তের বাসনা পূর্ণকারী ভগবান দেবতাদের এইভাবে বিষণ্ণ দেখে তাঁদের বলেছিলেন, 'তোমরা দুঃখিত হয়ো না। আমি আমার মায়ার দ্বারা অসুরদের বিমোহিত করে তাদের মধ্যে কলহের সৃষ্টি করব। 

 

 

এইভাবে আমি তোমাদের অমৃত লাভ করার বাসনা পূর্ণ করব।' হে রাজন, তখন অসুরদের মধ্যে কে প্রথম অমৃত পান করবে তা নিয়ে কলহের সৃষ্টি হয়েছিল। তারা সকলেই বলেছিল, 'আমি প্রথমে পান করব। আমি প্রথমে পান করব। তুমি প্রথমে পান করতে পারবে না। তুমি পান করতে পারবে না।' 

 

 

কোন কোন অসুর বলেছিল, 'দেবতারাও ক্ষীরসমুদ্র মন্থনে অংশগ্রহণ করেছিল। এখন সনাতন ধর্ম অনুসারে, যেহেতু সার্বজনীন যজ্ঞে সকলেরই সমানভাবে অংশগ্রহণ করার অধিকার রয়েছে, তাই দেবতাদেরও অমৃতের ভাগ পাওয়া উচিত।' 

 

 

হে রাজন, এইভাবে দুর্বল অসুরেরা বলবান অসুরদের অমৃত গ্রহণ করতে নিষেধ করেছিল। ভগবান শ্রীবিষ্ণু, যিনি যে কোন প্রতিকূল পরিস্থিতির প্রতিকার করতে পারেন, তিনি এক অপূর্ব সুন্দরী স্ত্রীমূর্তি ধারণ করেছিলেন। 

 

 

নারীরূপে ভগবানের এই মোহিনীমূর্তি অবতার পরম মনোরম। তাঁর অঙ্গকান্তি নব-বিকশিত নীল কমলের মতো এবং তাঁর দেহের প্রতিটি অঙ্গ পরম সৌন্দর্যমণ্ডিত। তাঁর কর্ণযুগল সমান আভরণে বিভূষিত, তাঁর গণ্ডদেশ অত্যন্ত মনোহর, তাঁর সুন্দর মুখমণ্ডল উন্নত নাসিকাযুক্ত এবং যৌবনের ছটায় পূর্ণ। 

 

 

তাঁর উন্নত স্তনযুগলের প্রভাবে তাঁর কটিদেশ অত্যন্ত ক্ষীণ বলে প্রতীত হচ্ছিল। তাঁর অঙ্গসৌরভে আকৃষ্ট হয়ে ভ্রমরেরা তাঁর চতুর্দিকে গুঞ্জন করছিল এবং তার ফলে তাঁর নয়নযুগল চঞ্চল হয়েছিল। 

 

 

তাঁর সুন্দর কেশদাম মল্লিকা মালায় ভূষিত। তাঁর কমনীয় গ্রীবা কণ্ঠ আভরণে ভূষিত, তাঁর বাহুযুগল অঙ্গদের দ্বারা বিভূষিত, তাঁর দেহ নির্মল বস্ত্রের দ্বারা আচ্ছাদিত এবং তাঁর নিতম্ব এক সৌন্দর্যের সমুদ্রে দুটি দ্বীপের মতো প্রতিভাত হচ্ছিল। 

 

 

তাঁর চরণ নূপুরের দ্বারা বিভূষিত। মধুর হাস্য সহকারে ভ্রূযুগল বিচলিত করে তিনি যখন অসুরদের প্রতি দৃষ্টিপাত করেছিলেন, তখন সমস্ত অসুরদের হৃদয় কামবাণে বিদ্ধ হয়েছিল এবং তারা সকলেই তাঁকে কামনা করেছিল।"

 

 আরও পড়ুনঃ

 

* বিষপান করে শিবের ব্রহ্মান্ড রক্ষা 

 

*  সমুদ্র মন্থনে দেবতা এবং অসুরদের সন্ধি

 

* মহারাজ ভরতের চরিত্রকথা 


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url