বৈকুণ্ঠের দুই দ্বারপাল জয় ও বিজয়কে ঋষিদের অভিশাপ
বৈকুণ্ঠের দুই দ্বারপাল জয় ও বিজয়ের কাহিনী
এক সময় ব্রহ্মার চার পুত্র বৈকুন্ঠ লোকে ভগবান বিষ্ণুর সঙ্গে দেখা করার জন্য গিয়ে ছিল, কিন্তু বৈকুণ্ঠ লোকের দ্বার পাল তাদের ভিতরে প্রবেশ করতে বাধা প্রদান করেছিলেন।
কারণ তারা চার জন ছিলেন ছোট শিশুর মতো। বৈকুণ্ঠ লোকের দ্বারপাল জয় ও বিজয় তাদের চিনতে পারেনি।
জয় ও বিজয়ের ব্যবহারে ক্রুদ্ধ হয়ে চার ঋষি তাদের অভিশাপ দিয়ে দিলেন। তারা বললেন তুমরা বৈকুন্ঠ লোকে থাকার উপযুক্ত নও, তুমরা মর্তলোকে জন্ম গ্রহণ কর।
তখন ভগবান জানতে পারলেন বৈকুন্ঠের দ্বারে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে, তিনি তৎকনাৎ ছোটে এলেন। ভগবানকে দেখে চার ঋষির রাগ দমন হলো এবং তারা বুঝতে পারল তারা ভুল করেছে।
তারা ভগবানের স্তুতি করতে আরম্ভ করল এবং ভগবানের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে লাগল। তারা বলল ভগবান আমরা ভুল করে ফেলেছি ক্রোধ বশত এই দুজনকে মর্তে জন্ম গ্রহণ করার অভিশাপ দিয়ে দিয়েছি।
“ঋষিদের সুন্দর বাণীর প্রশংসা করে, বৈকুণ্ঠপতি পরমেশ্বর ভগবান এইভাবে বললেন— জয় এবং বিজয় নামক আমার এই পার্ষদেরা আমাকে অবজ্ঞা করার ফলে আপনাদের প্রতি মহা অপরাধ করেছে।
হে মহর্ষিগণ! আপনারা আমার প্রতি অনুরক্ত, তাই আপনারা যে তাদের দণ্ড দান করেছেন তা আমি অনুমোদন করলাম।
আমার কাছে ব্রাহ্মণেরাই হচ্ছেন সর্বোচ্চ এবং সর্বাধিক প্রিয়। আমার পরিচারকেরা যে অশ্রদ্ধা প্রদর্শন করেছে তা আমারই দ্বারা করা হয়েছে, কেননা সেই দ্বারপালেরা আমারই পরিচারক।
আমি মনে করি যে, এই অপরাধ আমিই করেছি; তাই এই ঘটনার জন্য আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা ভিক্ষা করি।
ভৃত্য যদি কোন অপরাধ করে, তাহলে জনসাধারণ সেই জন্য প্রভুকে দোষ দেয়, ঠিক যেমন শরীরের কোন অঙ্গে শ্বেত কুষ্ঠ হলে, তার ফলে সমগ্র শরীর দূষিত হয়ে যায়।
নিখিল বিশ্বে যে কোন ব্যক্তি, এমনকি কুকুরের মাংস রন্ধন করে ভোজন করে যে চণ্ডাল, সেও আমার নাম, রূপ ইত্যাদির মহিমা শ্রবণের দ্বারা অবগাহন করার ফলে তৎক্ষণাৎ পবিত্র হয়।
আপনারা নিঃসন্দেহে আমাকে উপলব্ধি করেছেন; সুতরাং আমার নিজের বাহুও যদি আপনাদের প্রতি প্রতিকূল আচরণ করে, তাহলে তাকেও ছেদন করতে আমি ইতস্তত করব না ।”
ভগবান আরও বললেন—“যেহেতু আমি আমার ভক্তদের সেবক, তাই আমার চরণকমল এতই পবিত্র হয়ে গেছে যে, তারা তৎক্ষণাৎ সমস্ত পাপ মোচন করে এবং আমি এমন স্বভাব অর্জন করেছি যে, লক্ষ্মীদেবী আমাকে ছেড়ে যান না,
যদিও তাঁর প্রতি আমার কোন আসক্তি নেই এবং অন্যেরা তাঁর সৌন্দর্যের প্রশংসা করে এবং তাঁর কৃপালেশ লাভ করার জন্য পবিত্র ব্রত অনুষ্ঠান করে।
যে সমস্ত ব্রাহ্মণেরা তাঁদের কার্যকলাপের সমস্ত ফল আমাকে নিবেদন করেছেন এবং যাঁরা আমার প্রসাদ গ্রহণ করে সর্বদা পরিতৃপ্ত থাকেন, তাঁদের মুখে নিবেদিত ঘৃতপক্ব সুস্বাদু আহার্য আমি যতটা আনন্দ সহকারে উপভোগ করি,
আমার একটি মুখ যে যজ্ঞাগ্নি, তাতে যজমানের দ্বারা অর্পিত হবিতেও আমি ততটা আস্বাদন করি না। আমি আমার অপ্রতিহতা অন্তরঙ্গা শক্তির ঈশ্বর এবং আমার পাদোদক গঙ্গা ত্রিভুবনকে পবিত্র করে এবং শশিশেখর মহাদেব তাঁর মস্তকে তা ধারণ করে পবিত্র হন।
যদি আমি বৈষ্ণবের চরণ-রজ আমার মস্তকে ধারণ করতে পারি, তাহলে এমন কে আছে যে তা অস্বীকার করবে?
ব্রাহ্মণ, গাভী এবং রক্ষকহীন প্রাণীরা আমার শরীর। পাপের ফলে যাদের বিচারবুদ্ধি নষ্ট হয়ে গেছে, তারা এঁদেরকে আমার থেকে ভিন্ন বলে মনে করে।
তারা ঠিক ক্রুদ্ধ সর্পের মতো এবং পাপীদের দণ্ডদাতা যমরাজের শকুনিসদৃশ সুতেরা রুদ্ধ হয়ে তাদের চক্ষুর দ্বারা তাদেরকে ছিন্নভিন্ন করে।
পক্ষান্তরে, ব্রাহ্মণেরা কর্কশ বাক্য প্রয়োগ করলেও যাঁরা অন্তরে আনন্দিত এবং ব্রাহ্মণদের প্রতি শ্রদ্ধাপরায়ণ থাকেন এবং যাঁদের মুখমণ্ডল অমৃতের মতো স্মিত হাসিতে উজ্জ্বল, তাঁরা আমার হৃদয় বশীভূত করেছেন।
তাঁরা ব্রাহ্মণদের আমার স্বরূপ বলে মনে করেন এবং প্রেমপূর্ণ বাক্যের দ্বারা তাঁদের প্রশংসা করে শান্ত করেন, ঠিক যেভাবে পুত্র তাঁর ক্রুদ্ধ পিতাকে শান্ত করে অথবা যেভাবে আমি তোমাদের শান্ত করছি।
আমার এই সেবকেরা তাদের প্রভুর অভিপ্রায় না জেনে, আপনাদের বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে। তাই যদি আপনারা এই আদেশ দেন যে, তারা যেন তাঁদের অপরাধের ফল ভোগ করে শীঘ্রই আমার কাছে ফিরে আসে এবং আমার ধাম থেকে তাঁদের নির্বাসনের কাল অচিরে অতিবাহিত হয়, তাহলে তা আমার প্রতি আপনাদের অনুগ্রহ বলে আমি মনে করব।”
ব্রহ্মা বলতে লাগলেন—“ঋষিগণ যদিও ক্রোধরূপ সর্গের দ্বারা দংশিত হয়েছিলেন, তবুও বৈদিক মন্ত্রের প্রবাহের মতো ভগবানের মধুরোজ্জ্বল বাক্য শ্রবণ করে তাঁরা তৃপ্ত হতে পারেননি।
ঋষিগণ কর্ণ প্রসারণ করে মনোনিবেশ সহকারে ভগবানের অপূর্ব বাণী শ্রবণ করা সত্ত্বেও, মহত্ত্বপূর্ণ অভিপ্রায় এবং গভীর বৈশিষ্ট্য-সমন্বিত সেই বাণীর মর্ম হৃদয়ঙ্গম করা তাঁদের কাছে কঠিন হয়েছিল।
তাঁরা বুঝতে পারেননি ভগবান কি করতে চেয়েছিলেন। তবুও ভগবানের দর্শন লাভ করে চারজন ব্রহ্মর্ষি অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছিলেন এবং তাঁদের সারা শরীর রোমাঞ্চিত হয়েছিল। তখন যিনি তাঁর অন্তরঙ্গা শক্তি যোগমায়ার দ্বারা তাঁর কীর্তিমালা তাঁদের কাছে প্রকাশ করেছিলেন,
সেই পরমেশ্বর ভগবানের উদ্দেশ্যে তাঁরা কৃতাঞ্জলিপুটে বলেছিলেন– হে পরমেশ্বর ভগবান! আপনার অভিপ্রায় বুঝতে আমরা অক্ষম, কেননা যদিও আপনি সকলের পরম অধীশ্বর,
তবুও আপনি অনুগ্রহ করে আমাদের এই কথাগুলি বলছেন যেন আমরা আপনার কোন উপকার করেছি। হে প্রভু! আপনি - ব্রহ্মণ্য সংস্কৃতির পরম পরিচালক।
নিজে আচরণ করে। অন্যদের শিক্ষা দেওয়ার জন্য আপনি ব্রাহ্মণদের সর্বোচ্চ পদ দান করেছেন। প্রকৃতপক্ষে আপনি কেবল দেবতাদেরই পরম পূজ্য নন, আপনি ব্রাহ্মণদেরও পরম - উপাস্য।
আপনি সমস্ত জীবের শাশ্বত ধর্মের উৎস এবং - আপনার ভগবৎ স্বরূপে বহু রূপে প্রকাশিত হয়ে আপনি সর্বদা ধর্মকে রক্ষা করেছেন।
আপনি ধর্মতত্ত্বের পরম - উদ্দেশ্য এবং আমাদের মতে আপনি নিত্য, অব্যয় ও - নির্বিকার। পরমেশ্বর ভগবানের কৃপায়, যোগী এবং পরমার্থবাদীগণ সমস্ত জড় কামনা-বাসনার নিবৃত্তি সাধন করে অজ্ঞানাচ্ছন্ন ভব-সাগর পার হন।
তাই, পরমেশ্বর ভগবানকে অনুগ্রহ করা অন্য কারও পক্ষে সম্ভব নয়। যে লক্ষ্মীদেবীর পদধুলি অন্য সকলে তাঁদের মস্তকে ধারণ করেন, সেই লক্ষ্মীদেবী আপনার দাসীর মতো আপনার আদেশের অপেক্ষা করেন,
কেননা কোন ভাগ্যবান ভক্ত কর্তৃক আপনার চরণে নিবেদিত তুলসীদলের নবীন মালিকায় সঞ্চরণ করে যে ভ্রমরদের - রাজা, তার নিবাস স্থলে (আপনার শ্রীপাদপদ্মে) তাঁর স্থান সুরক্ষিত রাখার জন্য তিনি সর্বদা উৎকণ্ঠিত থাকেন।”
“হে প্রভু! আপনার শুদ্ধ ভক্তদের কার্যকলাপের প্রতি আপনি অত্যন্ত অনুরক্ত, তবুও যিনি সর্বদা আপনার অপ্রাকৃত প্রেমময়ী সেবায় যুক্ত, সেই লক্ষ্মীদেবীর প্রতি আপনি আসক্ত নন।
অতএব ব্রাহ্মণেরা যে পথে বিচরণ করেছেন, সেই পথের ধূলির দ্বারা আপনি কিভাবে পবিত্র হতে পারেন এবং আপনার বক্ষের উপর যে শ্রীবৎস- চিহ্ন, তার দ্বারা আপনি কিভাবে মহিমান্বিত হতে পারেন?
হে ভগবান! আপনি সমস্ত ধর্মের মূর্তিমান বিগ্রহ। তাই - তিনযুগে নিজেকে প্রকাশ করে আপনি স্থাবর এবং জঙ্গম প্রাণী সমন্বিত এই বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ডকে পালন করেন,
আপনার শুদ্ধ সত্ত্বময় এবং সর্বপ্রকার বর প্রদানকারী অনুগ্রহের দ্বারা দেবতা এবং ব্রাহ্মণদের কল্যাণ সাধনের জন্য আপনি রজ ও তমোগুণের উপাদানগুলিকে নিরসন করেন।
হে প্রভু! আপনি দ্বিজশ্রেষ্ঠদের রক্ষক। আপনি যদি পূজা এবং মধুর বাণী প্রয়োগ করে তাদের রক্ষা না করেন, তাহলে অবশ্যই আপনার শক্তি ও অধ্যক্ষতায় আচরণশীল জনসাধারণ অর্জনের পবিত্র পন্থা পরিত্যাগ করবে।
হে প্রভু! আপনি সমস্ত মঙ্গলের উৎস, তাই আপনি কখনও চান না যে, মঙ্গলময় পথ বিনষ্ট হয়ে যাক। কেবল জনসাধারণের মঙ্গলের জন্য আপনার মহান শক্তির দ্বারা আপনি অশুভ তত্ত্বের বিনাশ সাধন করেন।
আপনি ত্রিলোকের ঈশ্বর এবং সমগ্র বিশ্বের পালনকর্তা। তাই আপনি যখন বিনীতভাবে আচরণ করেন, তখন তার ফলে আপনার প্রভাব ক্ষীণ হয় না। পক্ষান্তরে, এইভাবে বিনীত হওয়ার মাধ্যমে আপনি আপনার চিন্ময় লীলা প্রদর্শন করেন।
হে প্রভু! এই দুই জন নিরপরাধ ব্যক্তিদের অথবা আমাদেরও যে দণ্ডই আপনি দিতে চান, তা আমরা নিষ্কপটে গ্রহণ করব। আমরা বুঝতে পেরেছি যে, দুই জন নির্দোষ ব্যক্তিকে আমরা অভিশাপ দিয়েছি।”
ভগবান উত্তর দিলেন — “হে ব্রাহ্মণগণ! আপনারা জেনে রাখুন যে, আপনারা তাঁদের যে দণ্ড দিয়েছেন তা প্রকৃতপক্ষে আমারই দ্বারা নির্ধারিত এবং তাই তাঁরা অধঃপতিত হয়ে দৈত্যকুলে জন্মগ্রহণ করবে।
কিন্তু ক্রোধের দ্বারা উৎপন্ন মনের একাগ্রতার দ্বারা তাঁরা আমার সঙ্গে দৃঢ়ভাবে যুক্ত হবে এবং অচিরেই তাঁরা আমার সকাশে ফিরে আসবে।”
শ্রীব্রহ্মা বললেন—“তারপর সেই ঋষিগণ স্বয়ংপ্রকাশ বৈকুণ্ঠলোকে নয়নানন্দদায়ক বৈকুণ্ঠনাথ পরমেশ্বর ভগবানকে দর্শন করে সেই দিব্য ধাম ত্যাগ করলেন।
ঋষিগণ ভগবানকে প্রদক্ষিণ করে, তাঁকে প্রণতি নিবেদন করে এবং বৈষ্ণবদের দিব্য ঐশ্বর্য সম্বন্ধে অবগত হয়ে, অত্যন্ত প্রসন্নচিত্তে তাঁদের স্ব-স্ব স্থানে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন।”
ভগবান তখন তাঁর অনুচর জয় এবং বিজয়কে বললেন—“এই স্থান থেকে প্রস্থান কর, কিন্তু কোন ভয় করো না। তোমাদের কল্যাণ হোক।
ব্রাহ্মণের অভিশাপ খন্ডনে যদিও আমি সমর্থ, তবুও আমি তা করব না। পক্ষান্তরে, এই অভিশাপ আমার অনুমোদিত।
বৈকুণ্ঠ থেকে তোমাদের এই প্রস্থান লক্ষ্মীদেবীর দ্বারা পূর্বনির্দিষ্ট ছিল। তিনি যখন আমার ধাম ত্যাগ করে পুনরায় আমার কাছে ফিরে আসছিলেন, তখন আমি বিশ্রাম করছিলাম বলে তোমরা তাঁকে দ্বারে বাধা দিয়েছিলে এবং তার ফলে তিনি অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হয়েছিলেন।
ভগবান সেই দুই জন বৈকুণ্ঠবাসী জয় এবং বিজয়কে আশ্বাস দিয়ে বললেন- ক্রোধের বশবর্তী হয়ে যোগ অনুশীলনের ফলে, ব্রাহ্মণদের অবহেলা করার পাপ থেকে তোমরা মুক্ত হবে এবং অচিরেই আমার কাছে ফিরে আসবে।
এইভাবে ভগবান দ্বারপালদের আদেশ দিয়ে, দিব্য বিমান শ্রেণী দ্বারা ভূষিত এবং সর্বোত্তম ঐশ্বর্য ও সম্পদে পরিপূর্ণ তাঁর ধামে তিনি প্রবেশ করলেন।
কিন্তু দেবতাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ সেই দুই জন দ্বারপাল ব্রহ্মশাপের ফলে সৌন্দর্য এবং তেজ হারিয়ে, বিষাদগ্রস্ত হয়ে, ভগবানের ধাম বৈকুণ্ঠলোক থেকে অধঃপতিত হলেন।
তারপর, জয় এবং বিজয় যখন ভগবানের ধাম থেকে পতিত হচ্ছিলেন, তখন অপূর্ব বিমানে উপবিষ্ট দেবতাদের কণ্ঠ থেকে মহা হাহাকার ধ্বনি উত্থিত হয়েছিল।”
ব্রহ্মা বলতে লাগলেন—“ভগবানের সেই দুই জন প্রধান দ্বারপাল সম্প্রতি দিতির গর্ভে প্রবেশ করে, কশ্যপ মুনির শক্তিশালী বীর্যের দ্বারা আচ্ছাদিত হয়েছেন। সেই দুই অসুরের তেজের দ্বারা তোমাদের তেজ এখন তিরস্কৃত হওয়ার ফলে, তোমরা বিচলিত হয়েছ।
এর প্রতিবিধান করার শক্তি আমার নেই, কেননা ভগবানেরই ইচ্ছাক্রমে এই সব কিছু হয়েছে। হে প্রিয় পুত্রগণ ! ভগবান হচ্ছেন প্রকৃতির তিন গুণের নিয়ন্তা এবং তিনি বিশ্বের সৃষ্টি, স্থিতি এবং প্রলয়ের কারণ।
তাঁর আশ্চর্যজনক সৃজনী শক্তি যোগমায়াকে যোগেশ্বরেরাও সহজে বুঝতে পারেন না। সেই আদি পুরুষ ভগবানই কেবল আমাদের রক্ষা করতে পারেন। এই বিষয়ে চিন্তা করে তাঁর কোন উদ্দেশ্য আমরা সাধন করতে পারব?”
আরও পড়ুনঃ
* শ্রীমদ্ভাগবত বক্তা- শুকদেব গোস্বামীর আবির্ভাব
* মহাভারতের মহারাজ পরীক্ষিতের জন্ম কথা
* কিভাবে পরীক্ষিৎ মহারাজ কলিযুগের সম্মুখীন হয়েছিলেন
* পৃথিবীতে কলি যুগের শুরুর সময়-কলির দন্ড ও পুরুষ্কার
* আমাদের হৃদয়ে ভগবান কোথায় থাকেন?
* শুদ্ধ ভক্তি কি? কোন দেবতার পূজা করলে কি লাভ করা যায়
* বিষ্ণুর অবতার সমূহ (বিশিষ্ট কার্য সম্পাদনের জন্য)