ভগবানের ধামের বর্ণনার মাধ্যমে শুকদেব গোস্বামীর উত্তর
ভগবানের ধামের বর্ননা
শ্রীল শুকদেব গোস্বামী বললেন—“হে রাজন, পরমেশ্বর ভগবানের শক্তির দ্বারা প্রভাবিত না হলে শুদ্ধ আত্মার শুদ্ধ চেতনায় জড় দেহের সঙ্গে সম্পর্কিত হওয়ার কোনই অর্থ হয় না।
সেই সম্পর্ক স্বপ্নদ্রষ্টার স্বপ্নদৃষ্ট দেহের কার্যকলাপ দর্শন করার মতো। ভগবানের : বহিরঙ্গা শক্তির প্রভাবে মোহাচ্ছন্ন হয়ে জীব নানা রূপবিশিষ্ট হয়ে প্রকাশ পায়, এবং সেই মায়ারই গুণসমূহে অভিনিবিষ্ট হয়ে আমি' ও 'আমার এই প্রকার অভিমান করে।
জীব যখন তার মহিমান্বিত স্বরূপে অবস্থিত হয়ে কাল এবং জড়া প্রকৃতির অতীত অপ্রাকৃত আনন্দ উপভোগ করতে শুরু করে, তখনই জীবনের এই দুটি ভ্রান্ত ধারণার (আমি এবং আমার) মোহ থেকে মুক্ত হয়ে তার শুদ্ধ স্বরূপে পূর্ণরূপে অধিষ্ঠিত হয়।
“হে রাজন! ব্রহ্মার ভক্তিময় নিষ্কপট তপস্যায় অত্যন্ত প্রসন্ন হয়ে পরমেশ্বর ভগবান তাঁর সম্মুখে নিজের শাশ্বত দিব্য রূপ প্রকাশ করলেন। বন্ধ জীবদের পবিত্র করার এইটি হচ্ছে অভীষ্ট লক্ষ্য।
প্রথম গুরু এবং ব্রহ্মাণ্ডের সর্বশ্রেষ্ঠ জীব হওয়া সত্ত্বেও ব্রহ্মা তাঁর কমলাসনের উৎস খুঁজে পেলেন না; এবং জড় জগৎ সৃষ্টি করার বিষয়ে তিনি যখন চিন্তা করছিলেন তখন তিনি বুঝে উঠতে পারেননি কিভাবে এই কার্য শুরু করা যায়। তিনি বুঝতে পারেননি কোন্ পন্থায় এই কার্য সম্পাদন করা যায়।
তিনি যখন এইভাবে চিন্তা করছিলেন, তখন জলের মধ্য থেকে দুটি অক্ষর তিনি দুবার উচ্চারিত শুনতে পেলেন। সেই শব্দের প্রথম বর্ণটি স্পর্শ বর্ণের হতে ষোড়শ অক্ষর (অর্থাৎ ত ) এবং দ্বিতীয় বর্ণটি স্পর্শ বর্ণের একবিংশ (অর্থাৎ প)।
হে রাজন! এই তপ শব্দটি নিষ্কিঞ্চন ত্যাগীর একমাত্র ধন বলে পরিজ্ঞাত। সেই শব্দটি শুনে ব্রহ্মা চতুর্দিকে সেই শব্দের উচ্চারণকারীকে অন্বেষণের চেষ্টা করেছিলেন।
কিন্তু অন্য কাউকে খুঁজে না পেয়ে তিনি স্থির করেছিলেন যে তাঁর কমলাসনে উপবিষ্ট হয়ে, সেই নির্দেশ অনুসারে মনোযোগ দিয়ে তপস্যা করাই সমীচীন। ব্রহ্মা এক সহস্র দিব্য বর্ষ তপস্যা করেছিলেন।
তিনি আকাশে এই অপ্রাকৃত শব্দ-তরঙ্গ শ্রবণ করেন এবং তিনি তা দিব্য বলে গ্রহণ করেছিলেন। এইভাবে তিনি তাঁর মন এবং ইন্দ্ৰিয়সমূহকে সংযত করেছিলেন এবং যে তপস্যা তিনি করেছিলেন তা সমস্ত জীবের পক্ষে এক আদর্শ শিক্ষা। এইভাবে তিনি সমস্ত তপস্বীদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ তপস্বী বলে স্বীকৃত হয়েছেন।
ব্রহ্মার তপস্যায় অত্যন্ত প্রসন্ন হয়ে পরমেশ্বর ভগবান তাঁকে সমস্ত লোকের ঊর্ধ্বে তাঁর পরম ধাম বৈকুণ্ঠলোক প্রদর্শন করিয়েছিলেন। ভগবানের সেই অপ্রাকৃত ধাম সবরকম জড় ক্লেশ এবং সংসার ভয় থেকে মুক্ত আত্মবিদদের দ্বারা পূজিত।
ভগবানের সেই ধামে রজো ও তমোগুণ নেই, এমনকি সেখানে সত্ত্বগুণেরও প্রভাব নেই। সেখানে বহিরঙ্গা মায়াশক্তির প্রভাব তো দূরের কথা, কালেরও প্রভাব নেই। মায়া সেখানে প্রবেশ করতে পারে না। সুর এবং অসুর উভয়েই কোনরকম ভেদবুদ্ধি না করেই ভগবানের পূজা করেন।
বৈকুণ্ঠবাসীদের বর্ণনা করে বলা হয়েছে যে তাঁরা সকলেই উজ্জ্বল শ্যামবর্ণ, তাঁদের নয়ন পদ্ম ফুলের মতো, বসন পীতবর্ণ, অঙ্গ অতি কমনীয় ও সুকুমার; তাঁরা সকলেই চতুর্ভুজ, অত্যন্ত প্রভাশালী, মণিখচিত পদকাভরণে সমলংকৃত ও অত্যন্ত তেজস্বী।
তাঁদের কারো অঙ্গকান্তি প্রবাল, বৈদূর্য ও মৃণালের মতো, এবং তাঁরা অতি দীপ্তিমান কুণ্ডল, মুকুট ও মাল্যসমূহে বিভূষিত। বিদ্যুৎশোভিত নিবিড় মেঘমালামণ্ডিত গগনমণ্ডল যেমন শোভাশালী, তেমনই সেই বৈকুণ্ঠধাম মহাত্মাদের দেদীপ্যমান বিমানশ্রেণী দ্বারা এবং সেখানকার রমণীদের বিদ্যুতের মতো উজ্জ্বল কান্তির দ্বারা শোভিত।
দিব্য রূপ সমন্বিত লক্ষ্মীদেবী তাঁর সহচরী বিভূতিগণ সহ ভগবানের শ্রীপাদপদ্মের প্রেমময়ী সেবা করেন। সেই লক্ষ্মীদেবী আনন্দভরে আন্দোলিতা এবং বসন্তের অনুচর ভ্রমরগণ কর্তৃক অনুগীত হয়ে তাঁর প্রিয়তম ভগবানের মহিমা গান করেন।
ব্রহ্মা দেখলেন যে সেই বৈকুণ্ঠে ভক্তদের প্রভু, যজ্ঞপতি, জগৎপতি, লক্ষ্মীপতি সর্বশক্তিমান ভগবান সেখানে সুনন্দ, নন্দ, প্রবল, অর্জণ প্রভৃতি পার্যনদের দ্বারা পরিবেষ্টিত ও প্রেমপূর্বক সেবিত হয়ে বিরাজ করছেন। পরমেশ্বর ভগবান সেখানে তাঁর ভৃত্যদের প্রসাদ বিতরণের জন্য উদ্গ্রীব।
তাঁর মাদকতাপূর্ণ আকর্ষণীয় রূপ অত্যন্ত প্রসন্নতাময়। তাঁর হাস্যোজ্জ্বল মুখমণ্ডল অরুণ নয়ন শোভিত, তাঁর মস্তক কিরীটশোভিত, কর্ণে কুণ্ডল, তিনি চতুর্ভুজ এবং তাঁর বক্ষঃস্থল শ্রীচিহ্ন ভূষিত।
সেই পরমেশ্বর ভগবান শ্রেষ্ঠ সিংহাসনে উপবিষ্ট এবং তিনি চতুং, ষোড়শ ও পক্ষ শক্তির দ্বারা পরিবেষ্টিত, এবং অন্যান্য গৌণ শক্তিসহ ষড়ৈশ্বর্যপূর্ণ। তিনি তাঁর স্বীয় ধামে রম্যমাণ প্রকৃত পরমেশ্বর ভগবান।
এইভাবে পূর্ণরূপে পরমেশ্বর ভগবানকে দর্শন করে ব্রহ্মা অন্তরে আনন্দ বিহ্বল হলেন এবং দিব্য প্রেম ও আনন্দে তাঁর নেত্র প্রেমাশ্রুতে পূর্ণ হল। তিনি তখন ভগবানের শ্রীপাদপদ্মে প্রণত হলেন।
পরমহংসদের মার্গ অনুসরণ করলেই কেবল এই পরম সিদ্ধি লাভ হয়। তখন প্রেমবশ ভগবান সন্তুষ্ট চিত্তে উপদেশ প্রদানের যোগ্য পাত্র ব্রহ্মার প্রতি অত্যন্ত প্রীতিযুক্ত হয়ে তাঁর হাত ধরে ঈষৎ রুচির হাস্য সহকারে সুমধুর সম্ভাষণে বলতে শুরু করলেন।”
পরম সুন্দর পরমেশ্বর ভগবান ব্রহ্মাকে বললেন “হে বেদগর্ভ ব্ৰহ্মা। সৃষ্টির বাসনায় তুমি যে দীর্ঘকাল তপস্যা করেছ, তার ফলে আমি তোমার প্রতি অত্যন্ত প্রসন্ন হয়েছি। কপট যোগীরা কখনো আমার সন্তুষ্টি বিধান করতে পারে না।
হে ব্রহ্মা! তোমার মঙ্গল হোক, তুমি আমার কাছে অভীষ্ট বর প্রার্থনা কর। কেননা আমিই একমাত্র বর প্রদানের কর্তা। শ্রেয় লাভের জন্য সকলে যে পরিশ্রম করে, আমার দর্শনই তার চরম ফল।
সর্বশ্রেষ্ঠ এবং পূর্ণতম দক্ষতা হচ্ছে আমার ধাম ব্যক্তিগতভাবে দর্শন করা, এবং তোমার পক্ষে তা সম্ভব হয়েছে কেননা আমার নির্দেশ অনুসারে তুমি শ্রদ্ধা সহকারে কঠোর তপস্যা করেছ। হে নিষ্পাপ ব্ৰহ্মা। আমার কাছে অবগত হও যে, সৃষ্টির প্রারম্ভে তুমি যখন তোমার কর্তব্য সম্বন্ধে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়েছিলে তখন আমিই তোমাকে তপস্যা করার নির্দেশ দিয়েছিলাম।
এই তপস্যা আমার হৃদয় এবং আমি তপস্যার আত্মা। তাই তপস্যা আমার থেকে অভিন্ন। এই প্রকার তপস্যার দ্বারা আমি এই বিশ্ব সৃষ্টি করি, পালন করি এবং সেই শক্তির চ দ্বারাই আমি তা সংবরণ করি। অতএব তপস্যাই হচ্ছে বাস্তবিক শক্তি।”
ব্রহ্মা বললেন- “হে ভগবান! পরম নিয়স্তারূপে আপনি প্রতিটি জীবের হৃদয়ে অবস্থিত এবং তাই আপনি আপনার অপ্রতিহত প্রজ্ঞার প্রভাবে সকলেরই প্রচেষ্টা সম্বন্ধে অবগত।
হে প্রভু। তা সত্ত্বেও আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করছি আপনি কৃপা করে আমার বাসনা চরিতার্থ করুন। দয়া করে আপনি আমাকে বলুন, আপনার চিন্ময় রূপ সত্ত্বেও আপনি কিভাবে জড় রূপ পরিগ্রহ করেছেন, যদিও আপনার সে রকম কোন রূপ নেই।
আপনি কিভাবে আপনার বিভিন্ন শক্তির সমন্বয়ের মাধ্যমে সংহার করেন, সৃষ্টি করেন এবং পালন করেন। হে মাধব! দয়া করে সে সমস্ত বিষয়ে আমাকে দর্শনের মাধ্যমে অবগত করুন।
ঊর্ণনাভের মতো আপনি - আপনার স্বীয় শক্তি দ্বারা নিজেকে আবৃত করেন, এবং আপনার সংকল্প অচ্যুত। দয়া করে আপনি আমাকে বলুন - যাতে আমি আপনার দ্বারা শিক্ষিত হয়ে আপনার প্রতিনিধিরূপে জীব সৃষ্টির কার্য করতে পারি এবং সেই প্রকার কার্যে যুক্ত হওয়া সত্ত্বেও বদ্ধ হয়ে না পড়ি।
হে - প্ৰভু, হে অজ! বন্ধু যেমন বন্ধুর সঙ্গে করমর্দন করে, আপনিও সেভাবে আমার সঙ্গে করেছেন (যেন আমি - আপনার সমকক্ষ)। বিভিন্ন প্রকার জীবের সৃষ্টির ব্যাপারে - আমি যুক্ত হব এবং এইভাবে আমি আপনার সেবায় নিযুক্ত হব।
আমি বিচলিত হব না, কিন্তু আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করি যেন তার ফলে আমি নিজেকে পরমেশ্বর বলে মনে করে গর্বান্বিত না হই ।”
পরমেশ্বর ভগবান বললেন— “শাস্ত্রে আমার সম্বন্ধে যে জ্ঞান বর্ণিত হয়েছে তা অত্যন্ত গোপনীয়, এবং তা ভক্তি সহকারে উপলব্ধি করতে হয়। সেই পন্থার আনুষঙ্গিক অঙ্গসমূহ আমি বিশ্লেষণ করছি তুমি তা যত্ন সহকারে গ্রহণ কর।
আমার সবকিছু, যথা আমার নিত্যরূপ এবং আমার চিন্ময় অস্তিত্ব, বর্ণ, গুণাবলী এবং কার্যকলাপ, আমার অহৈতুকী কৃপার প্রভাবে বাস্তব উপলব্ধির মাধ্যমে তোমার অন্তরে প্রকাশিত হোক।”
“হে ব্রহ্মা! সৃষ্টির পূর্বে পরমেশ্বর ভগবান আমিই একমাত্র বর্তমান ছিলাম, এবং তখন আমি ছাড়া অন্য কিছু ছিল না। এমনকি এই সৃষ্টির কারণীভূত প্রকৃতি পর্যন্ত ছিল না।
সৃষ্টির পরেও একমাত্র আমিই আছি এবং প্রলয়ের পরেও পরমেশ্বর ভগবান একমাত্র আমি অবশিষ্ট থাকব। হে ব্ৰহ্মা! আমার সঙ্গে সম্পর্করহিত যদি কোন কিছু অর্থপূর্ণ বলে প্রতীয়মান হয়, তা হলে তার কোন বাস্তবতা নেই।
তাকে আমার মায়া বলে জেনো, যা হচ্ছে অন্ধকারে প্রতিবিম্বের মতো। হে ব্রহ্মা, জেনে রেখ যে মহাভূতসমূহ যেমন উচ্চনীচ সমস্ত সৃষ্টিতে প্রবিষ্ট হয়েও অপ্রবিষ্টরূপে স্বতন্ত্রভাবে বর্তমান, তেমনই আমিও জগতে সর্বভূতে প্রবিষ্ট হওয়া সত্ত্বেও প্রত্যেক বস্তু থেকে পৃথক থাকি।
যে ব্যক্তি পরম সত্যরূপ আমার অনুসন্ধান করে, তাকে অবশ্যই প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে সর্বস্থানে, সর্বকালে এবং সর্বাবস্থায় এই বিষয়ে পরিপ্রশ্ন করতে হবে। হে ব্রহ্মা! তুমি একাগ্র চিত্তে আমার এই সিদ্ধান্তের অনুসরণ কর, তা হলে কল্পে ও বিকল্পে কোনরকম অহঙ্কার তোমাকে বিচলিত করবে না।”
শ্রীশুকদেব গোস্বামী মহারাজ পরীক্ষিতকে বললেন— “পরমেশ্বর ভগবান শ্রীহরি লোকসমূহের পরম আধিপত্যে স্থিত ব্রহ্মাকে এইভাবে উপদেশ প্রদান করে তাঁর সামনে থেকে তাঁর সেই অপ্রাকৃত রূপ অন্তর্হিত করলেন।
ভক্তদের দিব্য আনন্দ প্রদানকারী পরমেশ্বর ভগবান শ্রীহরি অন্তর্হিত হলে সর্বভূতময় সেই ব্রহ্মা তাঁর উদ্দেশ্যে বদ্ধাঞ্জলি হয়ে পূর্বপূর্ব কল্পের মতো এই বিশ্ব সৃষ্টি করেছিলেন। একদা প্রজাপতি এবং ধর্মপতি ব্রহ্মা সমস্ত - জীবের মঙ্গল কামনা করে এবং নিজের প্রয়োজন সাধনের জন্য বিধিপূর্বক যম-নিয়মসমূহ অনুষ্ঠান করেছিলেন।
ব্রহ্মার উত্তরাধিকারী পুত্রদের মধ্যে সবচাইতে প্রিয়তম নারদ, যিনি সর্বদা তাঁর সেবায় তৎপর, এবং তাঁর পিতার উপদেশসমূহ সুশীল আচরণ, বিনয় এবং ইন্দ্রিয় সংযমের দ্বারা পালন করতেন। হে রাজন! মহর্ষি এবং ভক্ত শ্রেষ্ঠ নারদ তাঁর পিতাকে অত্যন্ত প্রসন্ন করেছিলেন এবং মায়েশ্বর বিষ্ণুর সমস্ত শক্তি সম্বন্ধে জানতে ইচ্ছা করেছিলেন।
হে মহারাজ, আপনি এখন আমাকে যে সমস্ত প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করছেন, দেবর্ষি নারদ লোকসমূহের প্রপিতামহ স্বীয় পিতা ব্রহ্মাকে প্রসন্ন দেখতে পেয়ে সেই সমস্ত প্রশ্নই করেছিলেন। এরপর পিতা (ব্রহ্মা) তাঁর পুত্র নারদের প্রতি প্রসন্ন হয়ে দশটি লক্ষণ বিশিষ্ট ভাগবত পুরাণ উপদেশ দিয়েছিলেন, যা তিনি স্বয়ং ভগবানের কাছ থেকেই প্রাপ্ত হয়েছিলেন।
হে রাজন! পরম্পরাক্রমে দেবর্ষি নারদ সরস্বতীর তীরে ভক্তিযোগে স্থিত হয়ে পরম সত্য পরমেশ্বর ভগবানের ধ্যানমগ্ন অনন্ত শক্তিসম্পন্ন ব্যাসদেবকে শ্রীমদ্ভাগবত উপদেশ দিয়েছিলেন। হে রাজন! ভগবানের বিরাট রূপ থেকে ব্রহ্মাণ্ডের প্রকাশ হয়, এবং অন্যান্য যে সমস্ত প্রশ্ন আপনি করেছেন সেগুলির উত্তর আমি পূর্বোক্ত চারটি শ্লোকের ব্যাখ্যা রূপে বিস্তারিতভাবে বিশ্লেষণ করব।”
আরও পড়ুনঃ
* শ্রীমদ্ভাগবত বক্তা- শুকদেব গোস্বামীর আবির্ভাব
* মহাভারতের মহারাজ পরীক্ষিতের জন্ম কথা
* কিভাবে পরীক্ষিৎ মহারাজ কলিযুগের সম্মুখীন হয়েছিলেন
* পৃথিবীতে কলি যুগের শুরুর সময়-কলির দন্ড ও পুরুষ্কার
* আমাদের হৃদয়ে ভগবান কোথায় থাকেন?
* শুদ্ধ ভক্তি কি? কোন দেবতার পূজা করলে কি লাভ করা যায়
* বিষ্ণুর অবতার সমূহ (বিশিষ্ট কার্য সম্পাদনের জন্য)
হরে কৃষ্ণ ❤️