গোপিদের সাথে শ্রীকৃষ্ণের পুনর্মিলন-কৃষ্ণ লীলা কাহিনী


 গোপিদের সাথে শ্রীকৃষ্ণের পুনর্মিলন


গােপীরা যখন কৃষ্ণ বিরহে এইভাবে অত্যন্ত কাতর হয়ে পড়লেন, তখন সেই রােরুদ্যমান গােপীদের মধ্যে হাস্যবদন, পীতবসন, বনমালী সাক্ষাৎ মদনমােহন শ্রীকৃষ্ণ আবির্ভূত হলেন। তার অপূর্ব সুন্দর রূপ দেখে সহজেই বােঝা গেল যে, তিনি ষড়ৈশ্বর্যের দ্বারা বিভূষিত।

 

ব্রহ্মসংহিতায় বলা হয়েছে, আনন্দ-চিন্ময়- রস-প্রতিভাবিতাভিঃ' অর্থাৎ কৃষ্ণ একলা ততটা সুন্দর নন, কিন্তু যখন তিনি তাঁর শক্তি বিশেষ করে হ্রাদিনী শক্তি, যার প্রতীক হচ্ছেন শ্রীমতী রাধারাণী, সহ বিরাজ করেন, তখন তাকে অপূর্ব সুন্দর দেখায়। 

 

মায়াবাদীদের ধারণা যে, পরমতত্ত্ব হচ্ছেন শক্তিহীন, সেই ধারণা তাদের অজ্ঞানতারই প্রকাশ। প্রকৃতপক্ষে, তাঁর বিভিন্ন শক্তির প্রদর্শনী ছাড়া পরমতত্ত্ব অপূর্ণ। আনন্দ-চিন্ময়-রস কথাটির অর্থ হচ্ছে যে, তার দেহ চিন্ময়—তার সেই অপ্রাকৃত রূপ সচ্চিদানন্দময়।

 

কৃষ্ণ সর্বদাই তাঁর বিভিন্ন শক্তির দ্বারা পরিবৃত থাকেন, এবং তাই তিনি পূর্ণ এবং সুন্দর। ব্রহ্মসংহিতা এবং স্কন্দপুরাণ থেকে আমরা জানতে পারি যে, কৃষ্ণ সর্বদাই শত সহস্র লক্ষ্মীর দ্বারা পরিবৃত। সমস্ত গােপীরা হচ্ছেন লক্ষ্মী, এবং কৃষ্ণ তাদের হাত ধরে যমুনার তীরে নিয়ে গেলেন।

 

স্কন্দপুরাণে বলা হয়েছে যে, শত সহস্র গােপীদের মধ্যে ১৬,০০০ গােপী হচ্ছেন প্রধান; সেই ১৬,০০০গােপীদের মধ্যে ১০৮ জন গােঙ্গী হচ্ছেন বিশেষ বৈশিষ্ট্যযুক্ত; এবং এই ১০৮ জন গােপীর মধ্যে ৮জন গােপী হচ্ছেন আরও অধিক বৈশিষ্ট্যযুক্ত; এবং এই ৮জন গােপীর মধ্যে রাধারাণী এবং চন্দ্রাবলী হচ্ছেন প্রধানা; এবং এই দু'জন গােপিকার মধ্যে রাধারাণী হচ্ছেন সর্বশ্রেষ্ঠা।

 

কৃষ্ণ যখন যমুনার তীরে বনে প্রবেশ করলেন, চাদের কিরণ তখন অন্ধকারকে বিদূরিত করল। শরৎ ঋতুর প্রভাবে তখন কুন্দ ও কদম্ব ফুল ফুটেছিল এবং মৃদুমন্দ সমীরণ তাদের সুবাস বহন করছিল। সেই সুবাসে মােহিত হয়ে মৌমাছিরা মধু মনে করে সেই সমীরণে উড়ে বেড়াতে লাগল। যমুনার তীরে নরম বালি সমান করে তার উপর কাপড় বিছিয়ে গােপিকারা কৃষ্ণের আসন করলেন।

 

সেখানে সমবেত গােপীরা প্রায় সকলেই ছিলেন বেদবাণীর অনুগামী। তাঁদের পূর্বজীবনে শ্রীরামচন্দ্রের আবির্ভাবের সময়, তারা ছিলেন বৈদিক তত্ত্বজ্ঞানী ঋষি, যারা মাধুর্য রসে শ্রীরামচন্দ্রের সঙ্গলাভ করার বাসনা করেছিলেন। 

 

রামচন্দ্র তাই তাদের বর দান করেছিলেন যে, তিনি যখন শ্রীকৃষ্ণরূপে আবির্ভূত হবেন, তখন তারাও তার সেই লীলায় অংশগ্রহণ করবেন এবং তখন তিনি তাঁদের বাসনা চরিতার্থ করবেন। কৃষ্ণলীলায় সেই বেদজ্ঞ ঋষিরা বৃন্দাবনের গােপীরূপে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। যুবতী গােপীরূপে শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গলাভ করে তারা তাদের পূর্বজন্মের বাসনা চরিতার্থ করেছিলেন। 

 

তাদের পূর্ণ বাসনার চরম উদ্দেশ্য সাধিত হয়েছিল, এবং তারা এত উৎফুল্ল হয়েছিলেন যে, তাদের আর কোন বাসনা ছিল না। সেই সম্বন্ধে ভগবদ্গীতায় বলা হয়েছে—কেউ যখন পরমেশ্বর ভগবানকে প্রাপ্ত হন, তখন আর তার অন্য কোন বাসনা থাকে না। গােপীরা যখন তাঁদের মাঝে কৃষ্ণকে ফিরে পেলেন, তখন কৃষ্ণের বিরহজনিত তাঁদের সমস্ত অনুশােচনা এবং পরিতাপ প্রশমিত হল। তখন তাদের মনে হল যে, আর তাদের কোন বাসনা নেই।

 

কৃষ্ণকে পেয়ে সম্পূর্ণরূপে তৃপ্ত হয়ে তারা তাদের কাপড় মাটিতে বিছিয়ে দিলেন। তাদের পরণে ছিল সূক্ষ্ম রেশমের শাড়ি এবং তা তাদের স্তনের কুমকুমের রঙে রঞ্জিত হয়েছিল। অত্যন্ত যত্ন সহকারে তারা শ্রীকৃষ্ণের বসবার আসন তৈরি করলেন। কৃষ্ণ ছিলেন তাদের প্রাণের ঈশ্বর, তাই তার বসবার জন্য তারা অতি মনােরম এক আসন তৈরি করলেন।

 

গােপী পরিবৃত হয়ে সেই আসনে বসে কৃষ্ণ আরও সুন্দর হয়ে উঠলেন। শিব, ব্ৰহ্মা আদি মহাযােগীরাও, এমন কি ভগবানেরও অংশগ্রকাশ অনন্তশেষ পর্যন্ত, তাদের চেতনাকে তাদের হৃদয়ে কৃষ্ণের প্রতি একাগ্র করতে চেষ্টা করেন, কিন্তু এখানে গােপীরা তাদের তৈরি আসনে উপবিষ্ট শ্রীকৃষ্ণকে দর্শন করলেন।

 

গােপীদের দ্বারা পরিবৃত হয়ে কৃষ্ণকে দেখতে অত্যন্ত সুন্দর লাগছিল। গােপীরা হচ্ছেন ত্রিভুবনের শ্রেষ্ঠ সুন্দরী, এবং তারা সকলে শ্রীকৃষ্ণকে তাদের পাশে পেয়ে ছিলেন।

 

এখানে প্রশ্ন হতে পারে, কৃষ্ণ ত একলা ছিলেন, তা হলে তিনি কি করে এতজন গােপীর পাশে বসলেন। শ্রীমদ্ভাগবতেও এই শ্লোকে একটি বিশেষ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে— যা ভগবদগীতাতেও বলা হয়েছে—ঈশ্বরঃ সর্বভূতানাং হৃদ্দেশে অর্জুন তিষ্ঠতি। অর্থাৎ অন্তর্যামী পরমাত্মারূপে পরমেশ্বর ভগবান সকলেরই হৃদয়ে বিরাজমান। 

গােপীদের এই সমাবেশে কৃষ্ণ পরমাত্মার মতাে নিজেকে বহুরূপে প্রকাশিত করেছিলেন। প্রতিটি গােপীর পাশে কৃষ্ণ বসেছিলেন কিন্তু অন্য কেউ তা দেখতে পাচ্ছিল না। কৃষ্ণ গােপীদের প্রতি এত সদয় ছিলেন যে, যৌগিক ধ্যানের মাধ্যমে উপলব্ধ হওয়ার জন্য তাঁদের হৃদয়ে বসে, তিনি তাদের পাশে বসেছিলেন।

 

এইভাবে বাইরে বসে, তিনি গােপীদের প্রতি তাঁর বিশেষ কৃপা প্রদর্শন করেছিলেন, যারা হচ্ছেন সৃষ্টির পরম সৌন্দর্যের প্রকাশ। তাঁদের প্রিয়তমকে পেয়ে তাঁরা তাঁদের ভুরু নাচিয়ে মধুর হাসিতে উদ্ভাসিত হয়ে এবং তাদের ক্রোধ সংবরণ করে তার আনন্দ বিধান করতে লাগলেন। 

 

কেউ তাঁর শ্রীপাদপদ্ম তাঁদের কোলে তুলে নিয়ে তার পদসেবা করতে লাগলেন, স্মিত হেসে, তাঁদের সংযত ক্রোধকে সঙ্গোপনে প্রকাশ করে বললেন, “প্রিয় কৃষ্ণ, আমরা বৃন্দাবনের সাধারণ স্ত্রীলোেক, এবং আমাদের বৈদিক জ্ঞান নেই যে, আমরা বুঝব কোন্টা ভাল এবং কোন্টা মন্দ।

 

তাই আমরা তােমাকে একটা প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করব, আর যেহেতু তুমি হচ্ছ অত্যন্ত জ্ঞানবান, তাই তুমি সেই প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দিতে পারবে। প্রেমের বিষয়ে আমরা দেখি যে, তিন রকমের প্রেমিক রয়েছে। 

 

এক রকমের প্রেমিক আছে যারা কেবল গ্রহণ করে, আর এক রকমের প্রেমিক প্রেমিকা অত্যন্ত প্রতিকুল হলেও সেই প্রেমের প্রতিদান দেন, এবং তৃতীয় শ্রেণীর প্রেমিক অনুকূল অথবা প্রতিকুল কোনভাবেই সেই প্রেমে সাড়া দেয় না। সুতরাং এই তিন রকমের প্রেমিকের মধ্যে কাকে তােমার সব চাইতে ভাল বলে মনে হয় অথবা কাকে তুমি যথার্থ প্রেমিক বলে মনে করাে ?

 

উত্তরে শ্রীকৃষ্ণ বললেন, “আমার প্রিয় সখীরা, যারা অপর পক্ষের প্রেমের প্রতিদানে সাড়া দেয়, তারা ঠিক ব্যবসায়ীর মতাে। তারা যতটা পায়, সেই অনুসারে প্রতিদান দেয়। প্রকৃতপক্ষে, এই সম্পর্কে প্রেমের কোন প্রশ্নই থাকে না।

 

এটা কেবল ব্যবসায়ের সম্পর্ক এবং এটি স্বার্থসম্পন্ন এবং আত্মকেন্দ্রিক। দ্বিতীয় শ্রেণীর প্রেমিক যারা অপর পক্ষের বিরুদ্ধাচরণ সত্ত্বেও তাকে ভালবাসে; তা যদিও সম্পূর্ণভাবে প্রেমবিহীন তবুও তা ব্যবসায়ীদের চেয়ে ভাল। ঐকান্তিক ভালবাসা দেখা যায় সন্তানের অবহেলা সত্ত্বেও সন্তানের প্রতি পিতামাতার ভালবাসার মাধ্যমে। তৃতীয় শ্রেণীর প্রেমিক প্রেমের প্রতিদান দেয় না এবং অবহেলাও করে না। 

 

তাদের আবার দুভাগে ভাগ করা যায়। তাদের একদল হচ্ছে আত্মতৃপ্ত, যাদের কারােরই ভালবাসার প্রয়ােজন হয় না। তাদের বলা হয় আত্মারাম অর্থাৎ তারা পরমেশ্বর ভগবানের চিন্তায় সম্পূর্ণভাবে মগ্ন হয়েছেন এবং তাই কেউ তাদের ভালবাসল কিনা তা দিয়ে তাদের কিছু আসে যায় না। 

 

কিন্তু অপর শ্রেণীটি হচ্ছে অকৃতজ্ঞ। তাদের বলা হয় নির্দয়। এই ধরনের মানুষেরা তাদের চেয়ে উৎকৃষ্ট স্তরের লােকেদের প্রতি বিদ্বেষযুক্ত হয় এবং তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে। দৃষ্টান্ত স্বরূপ বলা যায়, যেমন একটি ছেলে তার স্নেহময়। পিতামাতার থেকে সব কিছু পাওয়া সত্ত্বেও তাদের প্রতি নির্দয় হয়ে তাদের সেই ভালবাসার প্রতিদান দেয় না। 

 

এই ধরনের লােকদের সাধারণত বলা হয় গুরুদ্রোহী, তারা তাদের পিতামাতা অথবা গুরুদেবের কাছ থেকে নানাভাবে উপকৃত হওয়া সত্ত্বেও তাদের অবহেলা করে।”

 

কৃষ্ণ প্রকারান্তরে গােপীদের এই প্রশ্নের উত্তর দিলেন, যদিও এই প্রশ্নের মাধ্যমে গােপীরা বলতে চেয়েছিলেন যে, কৃষ্ণ যথাযথভাবে তাদের প্রেমের প্রতিদান দেননি। এর উত্তরে কৃষ্ণ বলেছিলেন যে, পরমেশ্বর ভগবান হচ্ছেন আত্মতৃপ্ত আত্মারাম। তিনি কারও প্রেমের আকাক্ষী নন, কিন্তু তবুও তিনি অকৃতজ্ঞ নন।

 

কৃষ্ণ বলতে লাগলেন, আমার কথায় এবং আমার আচরণে তােমরা হয়ত ব্যথা পেয়েছ, তােমাদের অবশ্যই এটা জানা উচিত যে, মাঝে মাঝে আমি আমার প্রতি আমার ভক্তের আচরণের প্রতিদান দিই না।

 

আমার ভক্তরা আমার প্রতি অত্যন্ত আসক্ত, কিন্তু কখনও কখনও, আমার প্রতি তাদের প্রেম বর্ধিত করবার জন্য, আমি তাদের প্রেমে যথাযথভাবে সাড়া দিই না। আমি যদি তাদের কাছে। অত্যন্ত সহজলভ্য হই, তা হলে তারা মনে করতে পারে, 'কৃষ্ণকে এত সহজে পাওয়া যায়।

 

তাই মাঝে মাঝে আমি তাদের প্রেমে সাড়া দিই না। যদি কোন মানুষের কোন টাকা না থাকে কিন্তু তারপর সে যদি ধন প্রাপ্ত হয়, এবং তারপর যদি সে সেই ধন হারিয়ে ফেলে, তা হলে সে দিনের মধ্যে চবিশ ঘণ্টাই তার সেই হারানাে সম্পদের কথা চিন্তা করবে।

 

তেমনই আমার প্রতি আমার ভক্তের অনুরাগ বর্ধন করবার জন্য আমি মাঝে মাঝে তাদের কাছ থেকে দুরে সরে যাই, এবং আমাকে ভুলে যাওয়ার পরিবর্তে, আমার প্রতি তাদের প্রেম বর্ধিত হয়।

 

হে প্রিয় সখীগণ, কখনও মনে করাে না যে, আমি তােমাদের প্রতি সাধারণ ভক্তের মতাে আচরণ করছি। আমি জানি তােমরা কে। তােমরা সব রকম সামাজিক এবং ধর্মীয় বন্ধন পরিত্যাগ করেছ; তােমাদের পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে তােমাদের সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করেছ।

 

সামাজিক নীতি এবং ধর্মীয় বাধ্যবাধকতার পরােয়া না করে তােমরা আমার কাছে এসেছ এবং আমায় ভালবেসেছে। আমি তােমাদের প্রতি এত কৃতজ্ঞ যে, একজন সাধারণ ভক্তের প্রতি আমি যেরকম আচরণ করে থাকি তােমাদের প্রতি সেই রকম আচরণ করতে পারি না।

 

কখনও মনে করাে না যে, আমি তােমাদের থেকে দূরে চলে গিয়েছিলাম। আমি তােমাদের কাছেই ছিলাম। আমি কেবল দেখছিলাম আমার অনুপস্থিতিতে তােমরা আমার প্রতি কতটা আকুলতা অনুভব করাে। তাই দয়া করে আমাকে ভুল বুঝো না। 

 

যেহেতু তােমরা আমাকে তােমাদের এত প্রিয়তম বলে মনে করাে, আমি যদি কোন ভুল করে থাকি তাহলে দয়া করে আমাকে ক্ষমা করাে। আমার প্রতি তােমাদের প্রেমের প্রতিদান আমি কোনদিনই দিতে পারব না। তােমাদের এই প্রেমের প্রতিদান দেওয়া বা যথাযথভাবে কৃতজ্ঞতা প্রদর্শন করা অসম্ভব।

 

তাই দয়া করে তােমাদের পুণ্যকর্মের প্রভাবে তােমরা সন্তুষ্ট থেকো। আত্মীয়-স্বজনদের থেকে নানা রকম বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে তােমরা আমার প্রতি ঐকান্তিক আকর্ষণ প্রদর্শন করেছ, যা চিরকাল আদর্শ হয়ে থাকবে। দয়া করে তােমাদের অতি উন্নত চরিত্রের বলে তােমরা সন্তুষ্ট থেকো, কেননা এই ঋণের প্রতিদান দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়।”

 

ভগবানের প্রতি বৃন্দাবনের ভক্তি হচ্ছে শুদ্ধ ভক্তির আদর্শ দৃষ্টান্ত। শাস্ত্রে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, ভক্তি যেন অবশ্যই অহৈতুকী এবং অপ্রতিহত হয়। অর্থাৎ কৃষ্ণের প্রতি ভক্তি কোন রকম সামাজিক, রাজনৈতিক বা ধর্মীয় রীতিনীতির দ্বারা প্রতিহত হতে পারে না। ভগবদ্ভক্তি সর্বদাই চিন্ময়।

 

গােপীরা বিশেষ করে কৃষ্ণের প্রতি শুদ্ধ ভক্তি প্রদর্শন করেছেন। সেই শুদ্ধ ভক্তির মাহাত্ম্য এতই অসীম যে, শ্রীকৃষ্ণ নিজেই সেজন্য তাদের কাছে ঋণী থেকে গেছে। তাই শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু বলেছেন যে, বৃন্দাবনের গােপবধূ প্রদর্শিত কৃষ্ণভক্তি হচ্ছে ভগবদ্ভক্তির সর্বোত্তম প্রকাশ।

আরও পড়ুন

 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
৩২. অক্রুরের বৃন্দাবনে আগমন


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url